ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশ না নিলে পিসিবি কোনো খেলোয়াড়কে বিপিএলে খেলার অনাপত্তিপত্র দেবে না। শুধু বিপিএল না, দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগেও অংশগ্রহণের জন্য এ শর্ত দিয়েছে পিসিবি।
বিপিএল শুরু হবে ৩ নভেম্বর। চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিপিএল শুরু হওয়ার একদিন পর গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির লিগের পর্দা উঠবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হবে ১৬ ডিসেম্বর। ঠিক এমন সময়ই পাকিস্তান আয়োজন করছে জাতীয় টি-টোয়েন্টি কাপ। ৭ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্টটি। ফাইনাল ২৩ নভেম্বর। এরপরই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বিপিএলে খেলার জন্য অনুমতি পাবেন। পাকিস্তানের ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টটি আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ব একাদশ দলের পাকিস্তান সফরের কারণে উক্ত টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে যায়।
পিসিবি নিজ দেশের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে। তবে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের বাইরের ক্রিকেটারদের সেই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে বাধ্যবাধকতা নেই।
জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ায় এবং বোর্ডের মূল চুক্তিতে না থাকায় শহীদ আফ্রিদি, মিসবাহ উল হক, সোহেল তানভীর, জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ সামির মতো তারকা ক্রিকেটাররা পিসিবির অনাপত্তিপত্র পাবেন। এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরেও অনাপত্তিপত্র না পাওয়ার কারণে খেলতে পারেননি পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে লাহোরে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। এই অবস্থায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন শর্তঅনুযায়ী হয়তো বিপিএলের শুরুর দিকে অনেককেই পাওয়া যাচ্ছে না পাকিস্তান থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ১ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি