অল্পের জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে গেছেন তামিম-লিটন। তবে, ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা গুণতে হচ্ছে তাদেরকে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে আম্পায়ারের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তামিম ও লিটন। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দিকে স্পিনার রশিদ খানের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন রংপুরের অলরাউন্ডার রবি বোপারা। কট বিহাইন্ডের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তামিম-লিটন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) খেলোয়াড় আচরণবিধিতে যেটা লেভেল থ্রি আইন ভাঙার মতো অপরাধ বলে ধরা হয়। তবে, তামিম ও লিটন আচরণবিধির লেভেল-২ ভঙ্গ করেছেন।
মাঠের দুই আম্পায়ার রানমোর মার্টিনেজ ও মাহফুজুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে তামিম ও লিটনকে জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ। তাদের সঙ্গে অভিযোগে সমর্থন দিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার মোরশেদ আলী খান এবং চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান। কুমিল্লার এ দুই ক্রিকেটার নিজেদের দোষ স্বীকার করায় শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
শুধু জরিমানায় পার পাননি তারা। পাশাপশি দু’জনের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট। নিয়মানুযায়ী চলতি টুর্নামেন্টে চারটি বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে একটি সাসপেনশন পয়েন্ট পাবেন তারা। অর্থাৎ এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হবেন। তাতে এ টুর্নামেন্টে আর ১ পয়েন্ট যোগ হলে এক ম্যাচের নিষিদ্ধ হবেন তামিম-লিটনরা। নিষেধাজ্ঞা থেকে এ যাত্রায় তাই বেঁচে গেলেও সামনের ম্যাচগুলোতে আরো সতর্ক থাকা ছাড়া উপায় থাকছে না কুমিল্লার দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ১৯ নভেশ্বর ২০১৭
এমআরপি