ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মায়ের চাওয়াতেই লম্বা ঢেউ খেলানো চুলে বিজয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
মায়ের চাওয়াতেই লম্বা ঢেউ খেলানো চুলে বিজয় ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাহেন্দ্র সিং ধোনি বা অন্য কোন তারকাকে অনুসরণ করে নয়, বরং মায়ের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই লম্বা চুল রেখেছেন ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।

শতজনের ভিড়েও এনামুলকে চিনে নিতে ভুল হয় না। কথাটি বোধ হয় এই মুহূর্তে বিজয়ের বেলায় পুরোপুরি প্রযোজ্য।

কেননা মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চত্বরে পা রাখার পর যদি ঢেউ খেলানো ঘাড় লম্বা সিল্কি চুলের কাউকে দেখেন, আপনি শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন এটা আর কেউ নন, প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।

বিজয়ের এই লম্বা চুল নিয়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে চলছে নানাবিধ মুখোরোচক আলোচন। এর জনক অবশ্য তিনিই। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে এক সংবাদ কর্মী তার কাছে লম্বা চুলের রহস্য জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘সেঞ্চুরি করে আমি চুল ঝাঁকিয়ে তা উদযাপন করবো। ’ কিন্তু বিধি বাম। তার সেই উদযাপন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবিপিএল শেষে এও শোনা গেছে তিনি অনেকের কাছেই অনুযোগ করে বলেছেন ‘এত সুন্দর চুল রাখলাম একটি শ্যাম্পু অ্যাডের অফার দিলো না!’ আমরা আশা করছি তিনি সেই অফার অচিরেই পেয়ে যাবেন।

এমন মজার সব কথার পাশাপাশি লম্বা চুল রাখা এবং তা কাটা নিয়ে তার একটি সংকল্পের কথাও জানিয়েছেন বিজয়। সেটি হলো, জাতীয় দলে না ফেরা পর্যন্ত তিনি চুল কাটবেন না। এবার অবশ্য বিধি চোখ তুলে তাকিয়েছেন। অবশেষে ফিরেছেন টাইগারদের ডেরায়। ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসোমবার (৮ জানুয়ারি)মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে তার সেই লম্বা চুলের রহস্য ভেদ করলেন বিজয়। ‘আসলে চুল বড় রাখা আমার আম্মুর খুব পছন্দের। বাবা যদিও পছন্দ করে না। তবে আম্মু পছন্দ করে। আম্মুর জন্যই রাখা। আম্মু বলছে যে চুল বড়ই থাক। অনেক দিন পর জাতীয় দলে আসছো, বড়ই থাক। মন দিয়ে খেলো। দলের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করো। পরে যদি মনে চায় ফেলে দিয়ো। ’

এ সময় তিনি কথা বলেন নিজের ফেলে আসা গত তিনটি বছর নিয়েও। যে সময়টিতে ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার একটা ব্যাপার আছে। লম্বা কিছু ম্যাচ খেলেছি। সম্ভবত ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। ওয়ানডেও খেলেছি ৪০টার মতো। এটা একটা অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ওয়ানডে লিগে বা প্রথম শ্রেণির লিগে দলকে জেতানো বা জেতা দলে থাকা, এটাও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। ছোটখাট আরো অনেক কিছু থাকে। ব্যাটিংয়ের দক্ষতা বাড়ানো, কিপিংয়ে কিছু কাজ করা; আসলে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকলে উন্নতির সুযোগটাই বেশি থাকে। আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি অনেক বেশি হয়েছে। ইনিংসগুলো বড় হচ্ছে। দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। সব কিছুতেই নিজেকে আগের থেকে ভালো লাগছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ৮ জানুয়ারি ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।