ব্যাস, ২৪ ওভারে দলীয় ৮২ রানের গুটিয়ে গেল ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটে বলে উড়তে থাকা বাংলাদেশ। আগের তিন ম্যাচে টানা হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া তামিম এবং দুই ম্যাচে ফিফটি পাওয়া সাকিব আল হাসানের ব্যাটে আজ রান খড়া।
লড়লেন কিছুটা মুশফিকুর রহিম। ৫৬ বলে তার ২৬ রানের ইনিংসটিই আজ বাংলাদেশের জন্য সবেধন নীলমনি হয়ে থাকলো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাব্বির (১০ রান)। এই হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাশরাফিদের ব্যাটিংয়ের উপাখ্যান। যা তাদের উপহার দিল দলীয় সর্বনিম্ন ৯ম সংগ্রহের লজ্জা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর ৫৮ রান। ২০১১ সালের ৪ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮.৫ ওভারে এত স্বপ্ল সংগ্রহে গুটিয়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। দ্বিতীয়টিও তাই। ২০১৪ সালে এই মিরপুরেই ১৭.৪ ওভার খেলে ৫৮ রানে থেমেছিল টাইগারদের ইনিংস। একই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে দলীয় ৭০ রানে গুটিয়ে তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ দেখেছিল লাল-সবুজের দল।
চতুর্থটি ২০০৮ সালে। ডারউইনে স্বাগতিক অজিদের কাছে ৭৪ রানে ধরাসায়ী হয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুল বাহিনী। পঞ্চম সর্বনিম্ন ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কায়। স্বাগতিকদের বোলিং তোপ ৩০.১ ওভারে ৭৬ রানে থামিয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশকে। ষষ্ঠটিও তাই। তবে এখানে টাইগাররা ওভার খেলেছিল ২৭.৩।
সপ্তমটি ৭৭। ২০০২ সালে কলম্বোয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকুল্যে এই সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। অষ্টমটি ৭৮। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এই শের-ই-বাংলায় ৭৮ রানে সাকিবদের ধস নেমেছিল।
আর নবমটি এল সেই শের-ই-বাংলায়।
এদিকে প্রায় চার বছর পর একশ রানের নিচে অল-আউট হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস