তবে শুক্রবারের পর সেই লক্ষ্য ফিকে হয়ে গেল। বাংলাদেশের ৫১৩ রানের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা তৃতীয় দিন শেষে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে নিয়েছে ৫৩৪ রান।
দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও মানেন সেটি। তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে দিলেন সোজাসাপ্টা স্বীকারোক্তি।
তিনি বলেন, জেতার জন্য শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন ওরা (শ্রীলংকা) বেটার পজিশনে আছে। কারণ তাদের হাতে সাতটা উইকেট আছে। দুটো দিন আছে। উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। তাই ম্যাচের কন্ট্রোলটা ওদের হাতেই আছে।
‘তবে তাদের কতো দ্রুত আউট করতে পারি সেই পরিকল্পনা করছি আমরা। চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় দুই-তিনটা উইকেট নিতে পারলে আমরাও হয়তো ম্যাচের কন্ট্রোল নিতে পারবো। তবে এজন্য আমাদের আরও ভালো বোলিং-ব্যাটিং করতে হবে। ’ -যোগ করেন সুজন।
ম্যাচটা ড্র’য়ের দিকে যাচ্ছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে সুজন বলেন, ‘কালকের দিনটা বলে দেবে কারা ম্যাচের কন্ট্রোল নিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা কতো সময় ব্যাটিং করবে তার উপরই সব নির্ভর করছে। হয়তো জেতা থেকে ম্যাচটা ড্রয়ের দিকেই যাবে। এটা বিশ্বাস করি আর কি। ’
তিন বিভাগ অর্থাৎ ব্যাটিং-বোলিং আর ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা ঝরেছে খালেদ মাহমুদের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, কয়েকটি জুটি হয়েছে, তবে আমাদের প্রত্যাশা মতো ব্যাটিং হয়নি। কারণ উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। তাই ব্যাটিং আরেকটু ভালো করা যেত। সুযোগ মিস করেছি। ফাস্ট ডে তে ৩৭৪ করলাম। পরের দিনে উইকেট আরও কম পড়লে ভালো হতো। ছয়শ-সাড়ে ছয়শ রান তুলতে পারলে ভালো হতো। আর আমার মনে হয় না কিছু সময় আমরা ভালো বোলিং করেছি। সত্যি বলতে গেলে ভালো করেনি। আরেকটু ভালো করা যেত।
তবে ভাগ্যকেও দোষ দিয়ে সুজনের জবাব, ‘টেস্ট ম্যাচে সুযোগ কম আসে। তাই যেসব সুযোগ আসছে তা কাজে লাগাতে পারলে ভালো হতো। আর ভাগ্যও হয়তো আমাদের পক্ষে ছিল না। সকালে একটা ক্যাচ দু’জনের মাঝখান দিয়ে বের হয়ে গেল। একজনের হাতে এলে হয়তো ইজি হতো। হয়তো ফিল্ডিং আরও ভালো হতে পারতো। ক্যাচগুলো ধরতে পারলে ভালো হতো। ’
এখন পরের চিন্তা করছি। ভালো বোলিং-ব্যাটিং করতে হবে। আমার তো মনে হয় লাস্টদিন পর্যন্ত ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো থাকবো।
অনেকদিন ধরে স্লিপ ফিল্ডিংয়ে সৌম্য, সাব্বির, কায়েসকে দেখা যাচ্ছে। তবে এই টেস্টে সৌম্য-সাব্বির না থাকায় কায়েসের সঙ্গে মিরাজকে স্লিপে দাঁড় করানো হচ্ছে। কায়েস স্লিপে একটি ক্যাচ ধরতে পারলেও মিস করেছেন একটা। মিরাজও ধরতে পারেননি একটা।
সুজন বলেন, মিরাজ-কায়েসকে নিয়ে স্লিপ ফিল্ডিংয়ের কাজ করা হয়। এই টিমে হয়তো আর তেমন স্লিপ ফিল্ডার নেই। তাই এ দুজনকে দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ সিরিজে যেমন মুমিনুলকে আমরা সবসময় পাই, সেরকম কাউকে সবসময় পাওয়া যায়না। স্পেশাল স্লিপ ফিল্ডার দরকার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/এসএইচ