ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চতুর্থ দিন শেষে বিবর্ণ বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮
চতুর্থ দিন শেষে বিবর্ণ বাংলাদেশ ছবি: সোহেল সরওয়ার - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পথেই বাংলাদেশ যাচ্ছে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে এক বিবর্ণ স্বাগতিক দলকেই পাওয়া গেল। যেখানে সারাদিন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কে ভোগার পর ব্যাট করতে নেমে সুবিধাই করতে পারলো না তামিম-মুশফিকরা। এখনও ১১৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। হাতে আছে ৭ উইকেট।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রানের জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ৭১৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বরাবর ২০০ রানের দাঁড়া লিড হয়।

তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে তামিম ইকবাল ৫০ রান তুললেও দিনের শেষটা বাজেই হলো। দলীয় ৮১ রানে টপঅর্ডারের ৩টি উইকেট হারিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ১৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল হক।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৫০ রান যোগ করেন ইমরুল কায়েস। তবে দলীয় ৫৪ রানে দিলরুয়ান পেরেরাকে খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে চান্দিমালকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন ইমরুল। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না তামিমও। লাকসান সান্দাকানের বলে ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন তিনি। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও শেষ বিকেলের আফসোস হয়ে থাকবেন মুশফিকুর রহিম। তবে ঐ ইনিংস ৯২ রান আসলেও এদিন শেষ ওভারের পঞ্চম বলে রঙ্গনা হেরাথের বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।

এর আগে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে চতুর্থ দিন তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন রোশেন সিলভা। তবে ২৩০ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ১০৯ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। লিটন দাশের ক্যাচে পরিণত করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন এ স্পিনার। চতুর্থ উইকেট জুটির ১৩৫ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন তিনি।

মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে তাইজুল ইসলামের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন তিনি (৮৭)। ১৮৫ বলে তিনটি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান চান্দিমাল। আর দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল।

মেহেদি হাসান মিরাজের তৃতীয় শিকারে মাঠ ছাড়েন নিরোশান দিকভেলা। ৬১ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করে উইকেটরক্ষক লিটন দাশকে ক্যাচ দেন তিনি।

ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটটি পেতে বেশ কষ্টই করতে হলো সানজামুল ইসলামকে। ১৪৪ রানের বিনিময়ে অভিষেকে প্রথম উইকেট নিয়ে লজ্জার রেকর্ড থেকে বাঁচলেন এ বাঁহাতি। ৩২ রানে থাকা দিলরুয়ান পেরেরাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে দুবাই টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে ১৬৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পাওয়া ইংল্যান্ড স্পিনার আদিল রশিদ সেই বাজে রেকর্ডের মালিক।

দ্বিতীয় সেশন থেকে ফিরেই সুরাঙ্গা লাকমালকে (৯) বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। পরের ওভারে ২৪ রানে থাকা রঙ্গনা হেরাথকে এলবির ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি এ স্পিনারের ব্যক্তিগত চতুর্থ উইকেট তুলে নেন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যো সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। আরেক স্পিনার মেহেদে হাসান মিরাজ পান তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সানজামুল ইসলাম।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রানের জবাবে সফরকারীরা তৃতীয় দিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ৫০৪ রান করে।

তৃতীয় দিন লঙ্কান দুই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা তাদের ক্যারিয়ার সেরা ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন মেন্ডিস (১৯৬)। আর ১৭৩ করেন ডি সিলভা।  

গতকাল স্বাগতিক বোলারদের এই দুটি সাফল্যই ছিল। কেননা পরের দুই ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভা ও অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে রোশেন (৮৭)। চান্দিমাল ছিলেন ৩৭ রানে।

লঙ্কান ব্যাটিং দৃঢ়তায় কিছুটা ঢাকা পড়ে যায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের কীর্তি। যেখানে মুমিনুল হক ১৭৬ রানে বীরোচিত এক ইনিংস খেলেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।