তারপর শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তাকে শুনতে হলো অফস্পিন খেলতে পারছে না মুমিনুল। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মুমিনুলের ফর্ম ধীরে ধীরে যেতে যেতে তলানীতে।
তবে হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পরের টেস্টেই যেন জ্বলে উঠলেন মুমিনুল হক। তার (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) বর্তমান টিমের বিপক্ষেই দুই ইনিংসেই করলেন সেঞ্চুরি।
যেন ব্যাট দিয়েই হাথুরুকে জবাবটা দিয়ে দিলেন লিটল মাস্টার। তবে মুমিনুল সেসব উড়িয়ে দিলেন। চট্টগ্রাম টেস্ট ড্রয়ের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘আমার লাইফের জন্য ওটা ইমপর্টেন্ট ছিল। আপনারা কিভাবে দেখেন জানি না। কিন্তু আমি দেখি যে এটা হওয়ার কারণে হয়তো আমার মানসিকভাবে পরিবর্তন এসেছে। পরিশ্রমটা আরও বেড়েছে। কঠোর পরিশ্রম করাও হয়তো বেড়েছে। অনেক চিন্তাভাবনারও বদল এসেছে। সবমিলিয়ে তাই বলতে হয় ওই সময়টা আমার জন্য দরকার ছিল। ’
প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেলেও সেটির চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ১০৫ রানকেই এগিয়ে রাখলেন মুমিনুল, ‘আমি দ্বিতীয় ইনিংসটাকেই অনেক বেশি এগিয়ে রাখবো; কারণ এই ইনিংসটি আমার ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস ছিল। তাই এই ইনিংসটি আমার কাছে সবসময় এগিয়ে থাকবে। ’
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর মুমিনুলের স্বভাববিরুদ্ধ বুনো উল্লাস দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। এরপরেই সবদিকে বলাবলি শুরু হয়ে যায়-নিশ্চয় হাথুরুকে দেখিয়ে দিলেন মুমিনুল। তবে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পর পুরনো মুমিনুলকেই খুঁজে পেয়েছে সবাই। লিটন দাসের বাহুবন্দি হবার আগে শান্তভাবে হ্যালমেটটা খুলে ব্যাটটা তুলে ধরা, তারপর কয়েকবার আকাশের দিকে তাকানো-ওই।
এর কারণ কি? এমন প্রশ্নে হাসতে হাসতে মুমিনুল বলেন, ‘আসলে ওরকমভাবে চিন্তাভাবনা করিনি। এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। ’
পাশে বসা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাকে ফিস ফিস বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে মনে হয় একটু বেশি এক্টাইটেড ছিলি, সেকেন্ড ইনিংসে অনেক কুল হয়ে গিয়েছিলি। ’ মুমিনুলও সাঁয় দেন অধিনায়কের কথায়।
তাহলে কি জবাবটা ব্যাটেই দিয়েছেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য সিরিয়াস মুমিনুল, ‘এরকম চিন্তা ছিল না। কোনো ক্রিকেটারের পক্ষে এটা কোনোভাবেই সম্ভব না যে একটি টার্গেট করে রাখবে। সেটা করার পরে কাউকে দেখাবে। কেউ এরকম পারে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/এমআরএম