তিনি মুমিনুল হক; প্রথম টেস্টের ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চরির পর জানালেন সেই বার্তার পুরোটা।
মুমিনুল বলেন, ‘কালকেও আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে কথা হয়েছিল। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছিল আমার। আমি বলেছি-এরকম পরিস্থিতিতে আমরা এর আগেও অনেকবার পড়েছিলাম। এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের সবচেয়ে গুরুরত্বপূর্ণ হলো মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা। ’
‘আমি বলেছি, এমনকি টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে টিম বয়-কারও ভেতরে যেন এটা না আসে-আমরা ম্যাচটা সেভ করতে পারবো না। একজনের মধ্যেও যদি আসে তাহলে ভাইরাসের মতো সবার মধ্যেই এটি ছড়াবে। আমরা বিশ্বাস করব যে আমরা খেলাটা সুন্দরভাবে শেষ করে আসব। সবাই যদি বিশ্বাস করে তাহলে জিনিসটা আসবেই। বিশ্বাসটা সবার ভেতরে ছিল। তাই আমরা পেরেছি ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করে আসতে। ’-যোগ করেন মুমিনুল।
চাপের মুখে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির কারণ তাহলে পাওয়া গেল। এ নিয়ে বলতে গিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘আমি যদি ভাবি পুরো দিনটিই খেলব-তাহলে কঠিন। আমি আর লিটন যেটা করেছিলাম সেশন বাই সেশন-এক ঘণ্টা-এক ঘণ্টা করে খেলা শেষ করা। সেভাবেই আমরা এগিয়েছি। আমার কাছে মনে হয় যখন টেস্ট খেলবেন সেশন বাই সেশন খেলার চিন্তা করেন তাহলে সেটি ইজি হয়। একদিন দু’দিন তিনদিন খেলবেন ভাবলে তাহলে হবে না। ’
পঞ্চম দিনে যদি বল টার্নও করতো তাহলে তাতে যেন দলের কোন ব্যাটসম্যানই বিস্মিত না হন-সেই কথাটাও বলেছিলেন মুমিনুল। তার কথায়, ‘আশা করেছিলাম পঞ্চম দিনে বল টার্ন হবে। তাই বেশি টার্ন করলেও যাতে আমরা বিস্মিত না হই। সেটিকে মেনে নিয়ে খেলে যাই। ’
মুমিনুলের ছয় সেঞ্চুরির মধ্যে পাঁচটিই এলো জহুর আহমেদে। এই মাঠে এতো ভালো খেলার রহস্য কী-এমন প্রশ্নে মুমিনুলের ভাষ্য, ‘এরকম কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। এই মাঠে আসলে রান করবো, অন্য মাঠে না-এই চিন্তা করি না। গত কয়েকটি টেস্টে এই মাঠে তো আমার এরকম রান হয়নি। সেশন বাই সেশন খেলতে চাওয়াতেই ভালো ফল পেয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
টিএইচ/টিসি/এমআরএম