অলরাউন্ডার আফিফকে ভবিষ্যত বাংলাদেশ তারকা ভাবা হয়। কেনই বা ভাবা হবে না।
যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দৌড় শেষ হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে হারে সাইফ হাসানরা। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে ষষ্ঠস্থান লাভ করে লাল-সবুজরা।
বাংলাদেশ যুবারা নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা পারফরম্যান্স করলেও আফিফ ছিলেন দুর্দান্ত। আসরে মোট চারটি হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৪৬ গড়ে দলীয় সর্বোচ্চ ২৭৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের ও দ. আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচেও করেছিলেন হাফসেঞ্চুরি। এছাড়া গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে ৫ উইকেট ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট সহ দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯টি উইকেট নিয়েছেন।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির ওয়েবসাইটে যুব বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। যেখানে আফিফকে ‘উদীয়মান তারকা’ উল্লেখ করে বলা হয়, চারটি হাফসেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ সহ সে প্রমাণ করেছে কঠিন সময়েও পারফর্ম করা যায়। তার স্পিন বোলিংও ছিল ক্ষুরধার। এদিকে যুব বিশ্বকাপের সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। যেখানে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের আফিফ। অলরাউন্ডার হিসেবে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। সেখানেও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি স্পিনারের প্রশাংসা করা হয়েছে। এ তালিকায় বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের ৪ জন রয়েছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও দ.আফ্রিকার দু’জন করে আছেন।
১৮ বছরের আফিফের উত্থান অবশ্য সেই ২০১৬ সালে বিপিএলে। সেবার রাজশাহী কিংসের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে সবচেয়ে কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। তার শিকারে ছিলেন ক্যারিবীয়ান দানব ক্রিস গেইলও। আর ২০১৭ বিপিএলে সাবেক ক্লাব রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনা টাইহান্সের হয়ে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আলোচনায় আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস