তবে প্রথম দিনের খেলায় ছিল না একেবারেই। অবশ্য না থাকাটা অযৌক্তিকও ছিল না।
ধারণা করা হচ্ছিল, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের ম্যাচে অন্তত গ্যালারি ভরা দর্শক থাকবে, হর্ষধ্বণি ভেষে বেড়াবে শের-ই-বাংলার বাতাসে, উল্লাসের ঢেউ উঠবে গ্যালারিতে। কিন্তু কিসের কী! একমাত্র পূর্ব দিকের গ্যালারি ছাড়া আর যে অন্য কোনো প্রান্তে দর্শক খুঁজতে চোখ বড় করা ছাড়া উপায় নেই। তাদের উল্লাস ও উচ্ছ্বাসেই মাঝে মাঝে কিছুটা প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে শের-ই-বাংলা।
এটা প্রমানিত সত্য, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে যে টান টান উত্তেজনা থাকে সেটা টেস্ট ক্রিকেটে একেবারেই অনুপস্থিত। বিনোদনের খোঁজে যে ক্রিকেট মানুষ দেখতে চায় সেটা এখানে আশা করাটা নিছক অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু তাই বলে এক কম সংখ্যক উপস্থিতি! কে দেখেছে কোন কালে?
গেল বছরের অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও হাজার হাজার দর্শক উপস্থিতি দেখেছে দেশের ক্রিকেটের এই প্রধান ভেন্যু। তাহলে এই সিরিজে কী এমন হলো যে ছুটির দিনেও দর্শক নেই? জানতে স্টেডিয়ামের পশ্চিম দিকের গ্যালারিতে যাওয়া হয়েছিল।
গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সেখানে বসে দ্বিতীয় দিনের খেলা উপভোগ করছেন। তাদের মতে, ‘বাংলাদেশ ভালো খেলছে না বলেই দর্শক নেই। ’ তা না হলে দর্শকের ভীড়ে নাকি আজ গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গাও থাকতো না।
হয়তো তার কথাই ঠিক। কেননা ক্রিকেটপাগল এই জাতি চলমান এই টেস্টের ভবিষ্যত ইতোমধ্যেই দেখে ফেলেছে! ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে সফরকারী লঙ্কানদের করা ২২২ রানের জবাবে ১১০ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকদের ইনিংস। ১১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ নির্ভার ব্যাটিং করছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম