বিরতিতে যাওয়া পর্যন্ত ১৪ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৭ রান। ব্যাটিংয়ে অপরাজিত আছেন মুমিনুল হক (৩১) ও মুশফিকুর রহিম (২)।
দলীয় দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ২ রানে থাকা তামিম ইকবালকে নিজের শিকার বানান শ্রীলঙ্কান স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা। এলবির ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। পরে দলীয় ৪৯ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস (১৭)। তাকে আউট করেন রঙ্গনা হেরাথ।
এর আগে প্রথম সেশনেই শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচ জিতলে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে তামিম-মুশফিকদের।
তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ দুই উইকেটে আরও ২৬ রান যোগ করে লঙ্কানরা। যেখানে দলীয় ২২৬ রানে সবকটি উইকেট হারায় সফরকারীরা। তবে তাইজুল ইসলামের পর পর দুই বলে ফিরে যান ২১ রান করা সুরাঙ্গা লাকমাল ও শূন্য রানে থাকা রঙ্গনা হেরাথ। ৭০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রোশেন সিলভা। তাইজুল সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানরা ৮ উইকেটে ২০০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে। দলের হাল ধরে ব্যাক-টু-ব্যাক ফিফটিতে রোশেন সিলভা ৫৮ ও সুরাঙ্গা লাকমল ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। যেখানে গতকালই ৩১২ রানের লিড পায় দলটি। প্রথম ইনিংসে ১১২ রানের লিডের সুবাদে চালকের আসনে সফরকারীরাই।
এদিকে এ ম্যাচে হার এড়ালেই প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাংকিংয়ের আটে উঠবে টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে পাড়ি দিতে হবে লম্বা পথ। ড্র নয়, নিশ্চিত ফলাফল অপেক্ষা করছে ঢাকা টেস্টের জন্য
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় দিন তিনটি উইকেট লাভ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। আব্দুর রাজ্জাক ১টি ও তাইজুল ইসলাম নেন দু’টি। অন্য দুই উইকেট মেহেদি হাসান মিরাজের।
বোলিংবান্ধব উইকেটে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২২২ রানের জবাবে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক শিবির। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্রিকেটে এটিই সর্বনিম্ন স্কোর।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস