স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ জিততে সফরকারী দলটি কতটা আত্মবিশ্বাসী তা আরও বেশি আঁচ করা গেল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গাকে দেখে। সংবাদমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন মারমার কাটকাট।
এসেই বললেন, ‘ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে আমরা ভালো খেলেছি। মূলত সেখান থেকেই আমরা টি-টোয়েন্টি জয়ের আত্মবিশ্বাসটি পাচ্ছি। তা ছাড়া পুরো সিরিজের হাওয়া আমাদের অনুকূলে। আমরা তা বয়ে নিতে চেষ্টা করবো। ’
এরপর এলো উইকেটের প্রসঙ্গ। সেখানেও নির্ভার চান্দিমাল শিবির। ওয়ানডে ফরমেটের ত্রিদেশীয় সিরিজে শের-ই-বাংলার উইকেট ছিল মন্থর। প্রথম দিকে উইকেট বুঝে উঠতে সময় লাগায় টুর্নামেন্টটি হার দিয়ে শুরু করলেও শেষটা হয়েছে জয় দিয়ে।
এরপর টেস্ট সিরিজের শুরুতে সাগরিকার রান প্রসবা উইকেটে সাথে ম্যাচ ড্র করে দ্বিতীয়টিতে শের-ই-বাংলার চিরায়ত স্পিন ট্র্যাকে সাদা পোশাকে টানা দুই বছরের অপরাজেয় টাইগারদের আড়াই দিনে প্যাক করে দিল হেরাথ, ধনাঞ্জয়াদের স্পিন ঘূর্ণি।
কাজেই টি-টোয়েন্টিতেও উইকেট নিয়ে ভাবনা বলতে তাদের কিছুই নেই। আছে শুধু জয়ের দুনির্বার আকাঙ্ক্ষা, ‘আশা করছি উইকেট ভালোই হবে। ওয়ানডেতে স্লো উইকেট ছিল। টেস্টে ঢাকায় স্পিন ট্র্যাক ছিল। আসলে উইকেট নিয়ে অতআ ভেবে লাভ নেই। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এটাই মুল ব্যাপার। ’
উইকেট কিংবা ম্যাচ দুটোর কোনটি নিয়ে লঙ্কানদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা না গেলেও দিন শেষে অদৃশ্য একটি ভাবনা রেখা কিন্তু ঠিকই দেখা গেল। সেটি আর কিছু নয়, টাইগারদের শক্তিমত্তা নিয়ে। ঘরের মাঠে দুর্বার দলটি যেকোন সময়ই লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দিতে সক্ষম সেটা ভালো করেই জানেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান, ‘বাংলাদেশ দল যথেষ্ট সামর্থ্যবান একটি দল। ম্যাচটি একেপেশে হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম