বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেএসপিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল শেখ জামাল। সৈকত আলি ও হাসানুজ্জামান উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দেন ৬৪ রান।
মারকুটে হাসানুজ্জামান ৫ চারে ৩৩ রানে করে ফেরেন কাজি অনিকের বলে। ৫ চার ও ২ ছক্কায় সৈকত ৫৩ বলে করেন ৫০।
তবে শুরুটা ভালো হলেও আশানুরুপ খেলা উপহার দিতে পারেনি মিডল অর্ডার। চারে নামা ভারতীয় দিগ্বিজয় রাঙ্গি ১৪ ও পাঁচে নামা ইলিয়াস সানি ফিরেছেন ৩ রানে। আর তিনে নামা রাকিন আহমেদ ৯১ বলে ৬৪ রান করে নিজের ইনিংসের ইতি টানেন।
৪০ ওভার শেষে ২০৫ রানে ৫ উইকেট হারানো শেখ জামালকে তিনশ’র কাছে নিয়ে যান এবারের লিগে উড়ন্ত ফর্মে থাকা নুরুল হাসান সোহান। ৫৯ বলে তার ৭৭ রানে ৯ উইকেটে ২৮৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
মোহামেডানের হয়ে বল হাতে তাইজুল ইসলাম, শুভাশীষ রায় ২টি করে এবং কাজী অনিক, এবাদত হোসেন ও এনামুল হক নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে জয়ের জন্য ২৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মোহামেডান। ওপেনিংয়ে জনি তালুকদার ১৮ বল খেলেও রারে খাতা না খুলেই বোল্ড হয়েছেন সোহাগ গাজীর বলে।
তবে শুরুর সেই পশ্চাৎপদতা এরপরেই কাটিয়ে উঠে দলটি। দ্বিতীয় উইকেটে সালমান বাটও শুভর ১১৯ রানের জুটি দলকে জয়ের আশা দেখায়।
১২টি চারে সালমান বাট ৭৫ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান সালমান বাট। এরপর রনি তালুকদার এসেই ফিরে গেলেও শামসুর আরেকটি জুটি গড়ে তোলেন রকিবুল হাসানকে নিয়ে।
পাঁচে নেমে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ বলে ৬৩ করেন রকিবুল। পঞ্চম উইকেটে শামসুরের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৯২ বলে ১১২ রানের। আর তাতেই ৫ উইকেটের জয় আসে মোহামেডান শিবিরে।
শেখ জামালের হয়ে রকিবুল হক ২টি, সোহাগ গাজী, তানবীর হায়দার ও ইলিয়াস সানি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম