তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে টিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, হলুদ কাপড়ের মতো কিছু একটা পকেট থেকে বের করেছিলেন ব্যানক্রফ্ট। পরে সেটি লুকানোর চেষ্টা করেন তার ট্রাউজারের ভেতরে।
**অজিদের বল টেম্পারিং নিয়ে তোলপাড়
**প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিতে নেতৃত্ব হারাচ্ছেন স্মিথ
ঘটনার পরই ফুটেজ দেখেই টেলিভিশন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড মাঠের দুই আম্পায়ার নাইজল লং ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থকে ব্যাপারটি জানান। মাঠের দুই আম্পায়ার তার সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু আম্পায়াররা ব্যানক্রফ্টকে ডাকলেও কোনো কিছু খুঁজে পাননি। পরে আম্পাররা বল বদলাননি বা অস্ট্রেলিয়াকে ৫ রান জরিমানাও করেননি। কোনো ফিল্ডার বলের আকৃতি পরিবর্তন করলে যেটা সাধারণত করা হয়। দিন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেন স্মিথ ও ব্যানক্রফ্ট। তবে সরাসরিই সবকিছু স্বীকার করে নেন ব্যানক্রফ্ট, ‘ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আমার। বলের অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে আমাকে। লাঞ্চ বিরতির সময় আমাদের মধ্যে একটি আলোচনা হয়েছিল। টেপ ব্যবহার করে, উইকেটের ক্ষত অংশের মাটির দানা ব্যবহার করে বলের কন্ডিশন বদলানো একটি সুযোগ দেখেছিলাম আমি। যদিও এটা কাজে দেয়নি। আম্পায়াররা তাই বল বদলাননি। আমার ছবি বড় পর্দায় ভেসে ওঠে। সেটা দেখেই আমি চেষ্টা করেছিলাম ট্রাউজারের ভেতর গুঁজে দিতে। ’
এদিকে স্মিথও কোনো কিছু না লুকিয়ে বলেন, ‘যা ঘটেছে, তার জন্য আমি দুঃখিত। আমার নেতৃত্বে এই প্রথম এমন কিছু ঘটল। কথা দিচ্ছি, এটাই শেষ। এটা করে কিছুটা সুবিধা নেওয়ার কথা ভেবেছিল। লিডারশিপ গ্রুপ (সিনিয়ররা) ব্যাপারটা জানেন । কিন্তু কোচ লেম্যান এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০১৮
এমএমএস