ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাশরাফি-তাসকিন তোপে বড় সংগ্রহ বঞ্চিত শেখ জামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
মাশরাফি-তাসকিন তোপে বড় সংগ্রহ বঞ্চিত শেখ জামাল ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফতুল্লা থেকে: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুটা দুর্দান্ত করেও বড় সংগ্রহ পাওয়া হলো না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। মাশরাফি, তাসকিন ও মেহেদি হাসান মিরাজের আক্রমনাত্মক বোলিংয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো ৮ উইকেটে ২৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ নিয়েই।

জয়ের জন্য নাসির হোসেনদের প্রয়োজন ২৫৭ রান।

শেখ জামালের হয়ে ১০১ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেছেন আগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে সেঞ্চুরি  (১২৬) করা ভারতীয় ব্যাটসম্যান উন্মুখ চাদ।

আর ৫৫ বলে ৫৬ রান করেছেন ওপেনার সৈকত আলী।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামাল নিজেদের প্রথম উইকেট খুঁইয়েছে দলীয় ৯০ রানে।  মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে ফিরেছেন সৈকত আলী।  এই রান সগ্রহ করতে তিনি চারটি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছেন।

সৈকতের বিদায়ের পর দলীয় রান ৪ যোগ না হতেই ব্যক্তিগত ০ রানে ফিরেছেন রাকিন আহমেদ। এবারও ঘাতক সেই মিরাজ।

এরপর তৃতীয় উইকেটে তানবীর হায়দারকে নিয়ে বেশ শক্ত হাতেই আবাহনী বোলারদের মোকাবেলা করছিলেন উন্মুখ চাদ। তবে খুব বেশি দূর ইনিংসটিকে টেনে নিতে পারেননি। দলীয় ১৭৫ ও ব্যক্তিগত ৩১ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিয়েছেন তার সঙ্গী তানবীর হায়দার।

তবে তিনি ফিরে গেলেও উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা চাদ বোধহয় পণই করেছিলেন, সেঞ্চুরি না করে ফিরবেন না। করলেনও তাই। তুলে নিলেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। তখনও চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল শেখ জামাল। কিন্তু আৎকা  সেখানে বাধ সাধলেন মাশরাফি।

৪৩তম ওভারে একেবারে প্রথম বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড করে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান উন্মুখ চাদকে (১০১)।  এক বল বিরতিতে মিঠুনের হাতে তুলে দিলেন জিয়াউর রহমানকে (৬)।

অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল শেখ জামাল। মাশরাফির পর উইকেট ভাঙার প্রতিযোগিতায় শামিল হলেন তাসকিন আহমেদ। ১৯ রানে নুরুল হাসান সোহানকে প্যাভিলনের পথ দেখালেন এই গতি তারকা।  ফেরালেন রবিউল ইসলামকেও (১)।

আর ব্যক্তিগত ৩ রানে সোহাগ গাজীকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করলেন মাশরাফি। যা তাকে এনে দিল এই মৌসুমে ৩৫টি উইকেট। এরপর অবশ্য আর কোনো উইকেটের পতন ঘটেনি। ব্যক্তিগত ১৯  রানে ইলিয়াস সানি ও ৮ রানে নাজমুল
ইসলাম অপরাজিত থেকে ৮  উইকেটে দলকে এনে দিলেন ২৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।