১০১ রানের নান্দনিক এক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন ২৫৬ রানের সংগ্রহ। যা টপকাতে গিয়ে ২৩০ রানে গুটিয়ে গেছে আবাহনীর ইনিংস।
২৫ বছর বয়সী চাঁদের কথায়, ‘শীর্ষ দলকে হারিয়েছি, খুবই খুশি এবং ভালো লাগছে। আপনি জানেন আবাহনি ১ নম্বর দল। তাদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়াটা সব সময় দারুণ। ’
শুধু খুশি হয়েও ক্ষান্ত নন, চাঁদ ও তার দল। সেরাদের হারানোর পর দলে ফিরেছে আকাশ ছোঁয়া আত্মবিশ্বাস। যার বলে বলীয়ান হয়ে লিগের বাকি ৩ ম্যাচেও জয় ভিন্ন কিছুই ভাবতে চাইছেন না এই ম্যাচ উইনার, ‘এই জয়ে ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আরও তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। আশা করি সবগুলো ম্যাচই জিতবো। ’
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে এসব কথাই তুলে ধরেন উন্মুক্ত চাঁদ। এসময় তিনি দলীয় সংগ্রহ নিয়েও কথা বলেন। দলের ব্যাটিং আরও ভালো হলে সংগ্রহ ২৭০-২৮০ হতে পারতো বলে বিশ্বাস তার, ‘আমরা ২৭০-৮০ করতে চেয়েছিলাম। উইকেট খুব একটা ভালো ছিল না। ব্যাটিং কঠিন ছিল। দুর্ভাগ্যবশত উইকেটগুলো পড়ে গেল। সেজন্য আমরা পারিনি। তবে আমাদের বোলিং ইউনিট ভালো করেছে। ’
বাংলাদেশর ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ছোটালেও নিজ দেশের ঘরোয়া লিগ আইপিএলে সুযোগ মিলছে না চাঁদের। বিষয়টি তার জন্য হতাশারই বটে। কিন্তু তার কথায় সেটা মনে হলো না।
নিজ দেশকে রেখে আপাতত ঢাকা লিগেই ফোকাস করছেন বলে জানালেন, ‘আমার ফোকাস পরের ম্যাচ। যেহেতু আমি এখন এখানে খেলছি সেহেতু এখানকার সেরা হওয়াই আমার লক্ষ্য। সবাই চায় তার দেশের হয়ে খেলতে। যে কোনো টুর্নামেন্টে যেখানেই খেলি না কেন, পারফর্ম করলে হয়তো হবে। ’
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুম ডিপিএলে খেলছেন চাঁদ। সেটা এমনি এমনি নয়। এদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটই তাকে এখানে এসে খেলার হাতছানি দেয়। আর অবশ্যই উপভোগ করেন, ‘আমি বাংলাদেশে খেলা উপভোগ করি। এখানকার ক্রিকেট দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সেজন্যই ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থেকে প্লেয়াররা এসে এখানে খেলে। এখানকার উইকেটও অ্যামেজিং। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম