এর আগে বুধবার স্মিথ ও ব্যানক্রফ্টও জানিয়ে দিয়েছিলেন এই শাস্তির বিরুদ্ধে তারা কোনো চ্যালেঞ্জে যাবেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ে জড়িয়ে পড়েন স্মিথ-ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফ্ট।
এক টুইট বার্তা ওয়ার্নার বলেন, ‘ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আমি জানাতে চাই, আমার ওপর আরোপিত শাস্তি আমি মেনে নিচ্ছি। এ অপরাধের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আর একজন ভালো মানুষ, সতীর্থ ও আদর্শ হতে আমার যা করার আমি সবকিছুই করবো।
বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করার সময় ছিল। তবে এক ঘণ্টা আগেই টুইটারে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন ওয়ার্নার। আর এই শাস্তি মেনে নেওয়া মানে, ২০১৯ সালের এপ্রিলের আগে তিনি ক্রিকেটে ফিরতে পারছেন না। এছাড়া বাঁহাতি এ ক্রিকেটার নেতৃত্বে আর কখনো ফিরতে পারবেন না।
এর আগে আপিল না করা প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় স্মিথ বলেছিলেন, ‘যা ঘটেছিল অধিনায়ক হিসেবে পুরো দায়িত্বটা আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি। আমি এই শাস্তির বিপরীতে কোনো চ্যালেঞ্জ করছি না। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এর মাধ্যমে কঠোর একটি বার্তা দিয়েছে। আমি এটা মেনে নিচ্ছি। ’ ফলে স্মিথকেও ক্রিকেটে ফিরতে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে। যা কিনা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই মাস আগে।
অজি সাবেক অধিনায়ক স্মিথের মতামতের পর ব্যানক্রফ্টও টুইটারে শাস্তি মেনে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছিলেনন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেয়া সাজা আমি মেনে নিচ্ছি। অস্ট্রেলিয়ান মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনে আমি এমনটা করতে পছন্দ করবো। ধন্যবাদ তাদের যারা আমাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ’
ওয়ার্নার চ্যালেঞ্জ না করার বিষয়ে মুখ খোলার দু’দিন আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন ভিন্ন কিছু জানিয়েছিল। তারা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই তিন ক্রিকেটারের শাস্তি কমানোর জন্য অনুরোধ করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ০৫ এপ্রিল, ২০১৮
এমএমএস