এই জয়ে যেটা হতো, শিরোপার সুবাস পাওয়া আরেক দল আবাহনীর ওপর প্রচ্ছন্ন একটি চাপ তৈরী হতে পারতো। যে চোপে পড়ে বিকেএসপির ব্যাটিং স্বর্গে ৩৭৪ রান করেও রুপগঞ্জের কাছে হয়তো তাদের গল্পটা হারেরও হতে পারতো।
নুরুল হাসান সোহানদের দেয়া ১৬১ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় অনেকটাই কঠিন করে তুলেছিল খেলাঘর। দলের বিপর্যস্ত এই অবস্থায় হাল ধরেন অধিনায়ক নাজিম উদ্দিন ও রাফসান আল মাহমুদ।
নাজিমের ৬১ ও রাফসানের ৪৬ রানে ৬ উইকেটের খরচায় ৩৬.৫ ওভারে জয় তুলে নিয়ে মৌসুম শেষ করে খেলাঘর।
বল হাতে শেখ জামালের হয়ে নাজমুল ইসলাম অপু একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। অপর উইকেটটি নিয়েছেন আল ইমরান। শেখ জামাল হেরে গেলেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন ৫ উইকেট শিকারি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারেনি নুরুল হাসান সোহান ও তার দল। দলীয় ৯৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চলে যায় ব্যাকফুটে।
সেখান থেকে দলকে বড় সংগ্রহের আশা দেখাচ্ছিলেন নুরুল হাসান সোহান ও সোহাগ গাজী। তাদের দুজনের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্যে দলটি বেশ ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু আতকা ২৭.২ ওভারে অধিনায়ক নুরুল হাসানন সোহান ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আল মেনারিয়ার বলে তানভির ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়, সারোয়ার ইমরানের শিষ্যরা।
এরপর সোহাগ গাজীর ২৭ ও আল ইমরানের ২৫ রানে ১৬০ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল।
খেলাঘরের হয়ে বল হাতে রবিউল ইসলাম রবি, আল মেনারিয়া, মোহাম্মদ সাদ্দাম ২টি করে এবং মাসুম খান, আব্দুল হালিম ও তানভির ইসলাম নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ৫ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম