‘আর কোনো কারণ নেই। একটু রিল্যাক্স থাকার জন্য।
বৃহস্পতিবার (৫এপ্রিল) বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ১৯তম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের পর সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা বলেন।
দলের শিরোপা জয়ের এমন মাহেন্দ্রক্ষণে মাশরাফি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন এই ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান নাসির হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্তর। প্রশংসার বাণী থেকে বঞ্চিত করেননি ওপেনার এনামুল হক বিজয়কেও। শুরুটা যে তিনি দুর্দান্ত করে দিয়েছেন তাই।
‘ব্যাটিংয়ে যখন বিজয় আক্রমনাত্মক হয়েছে তখন কিন্তু চাপ এমনিতেই কমে গেছে। প্রতিদিনই একজনকে উদ্যোগ নিতে হয় যেটা আজকে বিজয় নিয়েছে। শেষে আবার শান্ত ও নাসির সেঞ্চুরি করেছে। ক্রেডিট গোজ টু দেম। কিন্তু আমি মনে করি শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। ’
অবশ্য তাদের এভাবে প্রশংসিত না করার কোনো কারনও নেই। ওপেনিংয়ে নেমে বিজয় ৫১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে দারুণ এক শুরু এনে দেয়ার পর আরেক ওপেনার নাজমুল ইসলাম শান্তর ১০৭ বলে ১১৩ ও মিডল-অর্ডারে নাসির হোসেনের ৯১ বলে ১২৯ রানের টর্নেডো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৭৪ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী। যা টপকাতে গিয়ে ২৮০ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। শিরোপা ধরা দেয় নাসির-মাশরাফিদের হাতে।
লিগের এবারের মৌসুমে মাশরাফির পারফরম্যান্স ছিল দৃষ্টান্তমূলক। সবচেয়ে সিনিয়র প্লেয়ার হয়েও সব তরুণ ক্রিকেটোরদের ছাপিয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন তিনিই। ১৬ ম্যাচে ৩৯ উইকেট নিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক মৌসুমের সেরা হয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এবারের লিগের সবক’টি ম্যাচই তিনি খেলেছেন। এর মাঝে ছিল না কোনো ইনজুরির অকাল হানা।
তাই তার ভাললাগার শেষ নেই, ‘অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। আমি যেভাবে চাচ্ছিলাম যে অবস্থায় আমি ছিলাম এই জায়গাটা ধরে রাখা। একই সঙ্গে ফিটনেস ধরে রাখা। কোনো গোপন রহস্য নেই। আমি মনে করি আমি ফোকাস ছিলাম। কারণ আমি জানি আমি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি না। তাই আমাকে ফোকাস থাকতে হতো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ৫ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম