পক্ষান্তরে এশিয়া কাপে মালেশিয়ার যে কন্ডিশন ছিল তার পুরোটাই তাদের পক্ষে। ব্যাটিং উইকেটে দেদারসে রান আসায় অনায়াসেই ম্যাচের ফলাফল তাদের পক্ষে আনা সম্ভব হয়েছে।
রুমানার কন্ঠে তাই কুয়ালালামপুরের কন্ডিশনের গুণগান, ‘যাওয়ার আগেই আমরা বলে গিয়েছিলাম ওদের (দ. আফ্রিকা) কন্ডিশনে আমাদের সমস্যা হয়েছিলো। কিন্তু এটা (এশিয়া কাপ) এশিয়ার ভেতরের কন্ডিশন ছিল। আমরা আশাবাদী ছিলাম অনেক ভাল করতে পারবো। কিন্তু ওখানে কন্ডিশনটা এতটা সহায়তা করেছে আমরা অতিরিক্তই ভাল করে ফেলেছি। ’
টুর্নামেন্টের ফাইনালে পরাশক্তি ভারতকে হারানোর আগেও কিন্তু লিগ পর্বে দলটিকে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা। কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন? রুমানার চটপটে উত্তর, ‘প্রথমটা। কেননা প্রথমটা না জিততে পারলে ফাইনালে উঠতে পারতাম না। ফাইনালে খেলাটা আমাদের জন্য বেশি জরুরী ছিল। তো প্রথমবার ওদের হারানোয় আমারদের আত্মবিশ্বাসটা বেশি কাজ করেছে যে দ্বিতীয়টাও ওদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো। ’
চ্যাম্পিয়ন তারা হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালীন কিংবা তার আগে একটিবারের জন্যও তা ভাবতে পারেনি বাংলাদেশ শিবির। কেননা তাদের প্রাথমিক লক্ষ্যটাই ছিলো ফাইনাল খেলা। ‘ওইভাবে মনে করিনি। তবে এবার আমাদের প্রথম ও শেষ লক্ষ্য ছিলো যে ফাইনাল খেলবোই। যে করেই হোক। আমরা প্রথম ম্যাচটা হয়তো খারাপ করেছি কিন্তু পরেরগুলোতে যেভাবে ফিরেছি ওইটা আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে। ’
বলাবাহুল্য বাংলাদেশের সেদিনের ঐতিহাসিক জয়ে ব্যাটে বলে সেরা পারফর্ম করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন এই রুমানা আহমেদ। ব্যাট হাতে ২২ বলে ২৩ রান করা রুমানা ৪ ওভার বল করে ২২ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।
তবে আশার কথা হলো, এমন দিনে এমন ক্ষুরধার পারফরম্যান্সের পরেও খুশিতে আত্মহারা নন এই টাইগ্রেস ওয়ানডে দলপতি। বরং ভবিষ্যতে নিজেকে আরও শানিত দেখতে চাইছেন। ‘নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ১২ জুন, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস