ম্যাচে সফরকারীদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে ইউনিভার্সিটিস অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাইস চ্যান্সেলর একাদশ।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই শূন্য রানে ফিরে যান ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
হাতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের জুটি থেকে আসে ২১ রান। অটলির বলে ১০ রান করে ফেরেন রিয়াদ। ব্যাটিংয়ে নেমে অটলির বলে চার হাঁকান সাব্বির রহমান। তবে পরের ওভারেই ফিরে যান তিনি।
১২৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। এক উইকেটে ১০১ রান থেকে দ্রুতই হারিয়ে ফেলে ৩টি উইকেট।
পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ২৯ রান যোগ করেন মুশফিক। দলীয় ১৫৬ রানের মাথায় সিয়ারলেসের বলে ১১ রান করে বোল্ড হন সৈকত।
সৈকতের বিদায়ের পর আবারও ক্রিজে ফেরত আসেন লিটন দাস। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তিনি। ৬১ বলে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন দাস। অর্ধশতক পান মুশফিকও। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৭ রান তোলে মুশফিক- লিটন জুটি।
৭০ রান করে হজের বলে ওয়ালটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। এরপর মিরাজকে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান মুশফিক। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। অপর প্রান্তে মিরাজ অপরাজিত থাকেন চার রানে।
এর আগে ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন ওটলি। তাছাড়া হজ ৪৪, জাঙ্গো ৩৬ ও গেইলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ রান।
সাবিনা পার্কে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের শুরুতেই বল হাতে সাফল্য পান গতিতারকা রুবেল হোসেন। দলীয় ও ব্যক্তিগত শূন্য রানেই ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক চাডউইক ওয়ালটন’কে। রুবেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাঙ্গোকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন ক্রিস গেইল। তবে গেইলের রুদ্র রুপ ধারণ করার আগেই নিজের প্রথম ওভারে ব্যক্তিগত ২৯ রানে তাকে সাজঘরের পথ ধরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হয়ে ফেরেন আন্দ্রে রাসেল। হজ ও ওটলির সপ্তম উইকেট জুটিতে মূল্যবান ৯০ রান যোগ করে স্বাগতিকদের সম্মানজনক সংগ্রহ হয়।
রুবেলের বলে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আউট হয়ে ফেরেন হজ। সঙ্গী হারিয়েও অর্ধশতক পূর্ণ করেন ওটলি। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে রুবেলের তিন নম্বর শিকারে পরিণত হলে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২২৭ রানে থামে প্রেসিডেন্টস একাদশের ইনিংস।
সফরকারী দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১০ ওভার বোলিং করে ১৪ রান খরচায় গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া পেসারদের মধ্যে রুবেল ৪০ রানে শিকার করেছেন ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট লাভ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু হায়দার রনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এমকেএম/জেডএস