রোববার (২২ জুলাই) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ও পঞ্চম ম্যাচে ১৭ ইনিংসে ৯৮০ রান নিয়ে খেলতে নামেন আগের ম্যাচেই পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে প্রথম দ্বিশতক হাকানো ফখর জামান। টেন্ডাই চাতারার বলে চার মেরে ১৭ থেকে ২১ রানে পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ডের খাতায় নাম উঠে যায় ফখরের।
ফখর জামানের আগে এই রেকর্ডে নাম ছিল পাঁচ ব্যাটসম্যানের। ২১ ইনিংস খেলে দ্রুততম ১ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো পাঁচজনের মধ্যে জামানের স্বদেশী ও বর্তমান সতীর্থ বাবর আজমও আছেন। বাকি চারজন হলেন- ভিভ রিচার্ডস, কেভিন পিটারসেন, জোনাথন ট্রট ও কুইন্টন ডি কক। ওয়ানডেতে ২১ ইনিংসে ১ হাজার রানের মালিক হওয়া প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
মাত্রই এক বছর আগে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২৮ বছর বয়সী ফখর জামানের ওয়ানডে অভিষেক হয়। ওই টুর্নামেন্টে চার ইনিংসে ২৫২ রান করেন তিনি, যার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে ১০৬ বলে ১১৪ রানের ইনিংসটি পাকিস্তানের ১৮০ রানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ৬০, ১১৭*, ৪৩*, ২১০* ও ৮৫।
শেষ ইনিংসটি তাকে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া ব্যাটসম্যানদের এলিট ক্লাবে যুক্ত করেছে। তার আগে এই ক্লাবে নাম উঠেছে- রোহিত শর্মা (৩বার), শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেবাগ, ক্রিস গেইল এবং মার্টিন গাপটিলের।
সবমিলিয়ে, ওয়ানডেতে মাত্র ১৮ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ-সেঞ্চুরির মালিক ফখর জামান।
ফখরের রেকর্ড গড়া আরও বাকি আছে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন ফখর। পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে তার রান ৫১৩। আগের রেকর্ডের মালিক ছিলেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৪৬৭ রানের রেকর্ডটি গড়েছিলেন তিনি।
আরও একটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ফখর। প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে আউট হওয়ার পর পরেরবার আউট হওয়া পর্যন্ত রান ৪৫৫। এর মাঝের তিন ইনিংসেই ছিলেন অপরাজিত। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি স্বদেশী সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফের ২০০২ সালে গড়া ৪০৫ রানের রেকর্ড ভেঙেছেন।
আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হকের সঙ্গে মিলে এদিন আরও একটি শতরানের জুটি গড়েছেন ফখর। একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে উদ্বোধনী জুটিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এখন এই জুটির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এমএইচএম