কি সেটা? টাইগার যুবাদের বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিতে চাইছেন তিনি। রোববার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নাভেদ বলেন,' যদি টেকনিক্যালি বলি, হ্যাঁ, বিশ্বকাপ শিরোপা জিততে চাই এবং এটা সম্ভব। আর সেজন্যই আমি ছেলেদের শক্তিমত্তার জায়গাটি দেখছি। আমাদের ছেলেদের সেই দক্ষতা আছে। '
তবে লাল সবুজের দলকে ভূতপূর্ব এই সাফল্য এনে দেয়ার পথে দ. আফ্রিকার কন্ডিশনকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নাভেদ, ‘সব চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ওখানকার কন্ডিশন এবং সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। গেল বিশ্বকাপ যেটি নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানকার কন্ডিশন বাংলাদেশের তুলনায় বেশ কঠিন ছিলো। দ. আফ্রিকার কন্ডিশনও তেমনি হবে। তবে নির্ভর করছে আমরা কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি তার ওপর। 'দ.আফ্রিকার ওই পেস ও বাউন্সে ভরা কন্ডিশনে খেলতে যাওয়ার আগে প্রতিটি দলকে সর্বাগ্রে তাদের পেস বোলিং সামর্থ্যের বিষয়টি মাথায় রাখতেই হয়। নাভেদ ও তাই রেখেছেন।
গেল সপ্তাহে বিসিবিতে যোগ দিয়েই শিষ্যদের সামর্থ্য দেখতে চলে গেছেন খুলনায় অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে। গত ১৬, ১৮ ও ১৯ জুলাই ওখানে তার শিষ্যরা হাই পারফরম্যান্স দলের সাথে তিনটি ওয়ানডে ফরম্যাটের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। যেখানে খুব কাছ থেকে প্রতিভাধরদের দেখা মিলেছে তার।
'এ পর্যন্ত ৭-৮ জন পেসারকে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে নির্বাচকরা আরও দু‘একজনকে দলে নিতে হতে পারে। কেননা দ. আফ্রিকার কন্ডিশনে পেসাররাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। '
খুলনায় তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ঢাকা ফিরে রোববার থেকে মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে টাইগার যুবাদের নিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে নেমে গেছেন নাভেদ নেওয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ২২ জুলাই, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস