শনিবার (২৮ জুলাই) দেশের ৬৪টি জেলার কোচদের সাথে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিবি কার্যলয়ে তিনি এমনটি জানান।
বিন্দুমাত্র ভুল বলেননি সুজন।
অথচ আগে নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন সেই প্রতিযোগিতামূলক খেলা আর অনুষ্ঠিত হয় না। জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোতে মতলববাজরা ভিড় জমিয়েছেন সংগঠকের পোশাক জড়িয়ে। যা লাল-সবুজের ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়নের পরিপন্থি বলে মত তার। ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে যখন আমরা খেলোয়াড় ছিলাম, আমরা কিন্তু ঢাকার বাইরে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। জেলায় যেসব প্লেয়ার ছিলো তাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছে। কিন্তু এখন জিনিসটা অনেক কম। অনেক জেলাতেই লিগ হচ্ছে না এবং হলেও সেখানে আবার রেলিগেশন সিস্টেম নেই। মানে প্লেয়াররা পয়সাও পাচ্ছে না, যদিও অল্প টাকাই পেত, সেটাও পাচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য এবং ক্রিকেটের জন্য খুবই কনসার্ন। ’
‘প্লেয়াররা অপেক্ষা করে যে ডেভেলপমেন্টের খেলা শুরু হবে, সেই খেলাগুলো তারা খেলতে পারবে। সেখান থেকে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় বয়সভিত্তিক দলগুলোতে সুযোগ পাবে। এটাই তাদের প্রক্রিয়া। কিন্তু তাদের ম্যাচ খেলার সংখ্যাটা কমে যাচ্ছে। যেটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য বড় একটা হুমকি হয়ে গেছে। ’ যোগ করেন সুজন।
আর এতে করে তাদের ক্রিকেটীয় জ্ঞান কমে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। এবং বিদেশি কোচরা এদেশে এলে প্রায়ই এই অভিযোগ বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ম্যানেজমেন্ট পেয়ে থাকে বলে জানালেন সুজন।
‘প্রতিটি জেলার ছেলেরা কিন্তু কষ্ট করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাদের গেম সেন্সের খুব অভাব। ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যাপার গেম সেন্স। যখন বিদেশি কোচরা আসে, তখন একটি বিষয়য়েই অভিযোগ করে “আপনাদের ছেলেদের জ্ঞান কম। ” এর কারণ একটাই, আমাদের ছেলেরা এখন কম ম্যাচ খেলছে। সেটা বড় ব্যাপার এবং আমার মনে হয় বোর্ড থেকে ইনস্পায়ার কর উচিৎ যেন লিগগুলো অন্তত হয়। তাহলে ওখানকার তরুণ ছেলেগুলো ম্যাচ খেলতে পারবে, সুযোগ পাবে এবং গেম সেন্স বাড়বে এবং ক্রিকেটকে এটা দারুনভাবে সাহায্য করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস