ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা যেভাবে ক্যারিবীয়ানদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছেন সেটিই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণেও তাদের আত্মবিশ্বাসি করে রাখবে। আর এক সঙ্গে এরা সবাই জ্বলে উঠতে পারলেই টি২০তেও জয় পাওয়া যাবে।
সোমবার (৩০ জুলাই) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে আশাবাদ ব্যক্ত করে সারোয়ার ইমরান বলেন, ওয়ানডে সিরিজ জয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও বাংলাদেশ ভালো করবে। যদিও এটা ছোট সংস্করণের খেলা এবং পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে হয়। আমাদের যে ব্যাটিং লাইন আপ আছে আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করবো।
সারোয়ার ইমরান আশাবাদ ব্যক্ত করলেও বিদেশের মাটিতে টি- টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, জেসন হোল্ডারদের বিপক্ষে সাকিবরা প্রত্যাশার কতোটুকু পূরণ করতে সক্ষম হবেন বা আদৌ হবেন কী না সেই শঙ্কা থেকেই যায়!
এছাড়া টাইগারদের ওপেনিং অর্ডার নিয়ে জটিলতা তো আছেই। যেহেতু তামিমের যোগ্য সঙ্গী আজও খুঁজে পাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি, তাই কে হবেন সেই ওপেনার এবং তিনি আদৌ দলকে দারুণ একটি শুরু এনে দিতে পারবেন কী না সেই প্রশ্নবোধক চিহ্নটিও থেকে যাচ্ছে।
উদ্ভুত সমস্যার আপাত সমাধান অবশ্য সারোয়ার ইমরান দেখছেন লিটন দাসকে দিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনামুল বিজয়, সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস তিনজনই ভালো। যদিও তেমন পারফরম্যান্সে নেই তারা। কিন্তু লিটন একমাত্র যার ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স আছে। তিনজনের যে কেউ ভালো করতে পারে। আসলে এটা নির্ভর করে ওরা নিজেদেরকে ব্যবহার করছে কী না।
পাশাপাশি অভিজ্ঞ তামিমকেও খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসার পরামর্শ দিলেন অভিজ্ঞ এই কোচ। বলেন, ওয়ানডের সময় টি-টোয়েন্টির মত আর টি-টোন্টির মত ব্যাট করলে হবে না। এই কাজটা আমরা করে থাকি। ওদের এসব জিনিষগুলো বুঝতে হবে। আর তামিমও এখন অনেক পরিণত। আশা করবো এই ফরম্যাটে সে খোলস থেকে বের হয়ে আসবে। ওয়ানডেতে ওয়ানডের মতোই খেলেছে সে। টি-টোয়েন্টিতে আরও অ্যাটাকিং খেলতে হবে।
আগামি ১ আগস্ট বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মোকাবেলা করবে স্বাগতিক ও সফরকারী দুই দল।
দ্বিতীয়টি ৫ আগস্ট ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্কে। ৬ আগস্ট একই ভেনুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম