উইন্ডিজের দুই ওপেনার শুরুটা ভালো করতে পারেননি। দলীয় ১০ ও ব্যক্তিগত দুই রানে মোস্তাফিজের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এভিন লুইস।
কিন্তু এরপরই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন আন্দ্রে রাসেল ও মারলন স্যামুয়েলস। ষষ্ঠ ওভারে রুবেল হোসেন উইন্ডিজ শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানতে সমর্থ্য হন। ওভারের চতুর্থ বলে স্যামুয়েলসকে ফেরান তিনি। ব্যক্তিগত ২৬ রানে (১৩ বলে) মাহমুদউল্লার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
রাসেলের সঙ্গে যোগ দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রোভম্যান পাওয়েল। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৫ রানে। আর রাসেল অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৩৫ রান খেলে যার মধ্যে ছিল তিনটি চার ও তিনটি ছয়ের মার।
দুটি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আর এক উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন।
এর আগে ১৪৩ রান সংগ্রহে বাংলাদেশ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ করেছেন মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১২৫ রানে তিনি কেসরিক উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হন। ২৭ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
দলীয় ৪৩ রানে দারুণ খেলতে থাকা লিটন দাশ ও সাকিব আল হাসানকে পর পর দুই বলে ফেরান কিমো পল। ৬ ওভারের ২য় বলে লিটন ও পরের বলে সাকিব আউট হয়ে ফেরেন। লিটন ২১ বলে ৩টি চারে ২৪ ও সাকিব ১০ বলে ৪টি চারে ১৯ করেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারকে হারায় বাংলাদেশ। অ্যাশলে নার্সের প্রথম বলে দিনেশ রামদিনের কাছে স্টাম্পিং হন তামিম। পরে ৪র্থ বলে বোল্ড হন সৌম্য। দু'জনেই কোনো রান করতে পারেননি।
ইনিংসের ১১তম ওভারে দলীয় ১০০ রানের দেখা পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের রান বাড়াতে সহায়তা করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে আগের ওভারেই কেসরিক উইলিয়ামসের বলে ১১ বলে ১৫ করে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।
আন্দ্রে রাসেলের বলে ১৫ রানে বোল্ড হন আরিফুল হক। পরে মেহেদি হাসান ১১ ও নাজমুল ইসলাম ৭ রানে উইলিয়ামসের বলে মাঠ ছাড়েন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ উইকেট নেন কেসরিক উইলিয়ামস। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাশলে নার্স ও কেমো পল। একটি উইকেট পান আন্দ্রে রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এমকেএম