এশিয়া কাপের এই আসরে মূলত কোয়ার্টার বা সেমি বলতে কিছু নেই। প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড দুটিই লিগ পদ্ধতিতে।
প্রথম ধাক্কায় শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে আফগানদের হারায় টাইগাররা। শেষ বলে জয় নিশ্চিত যাকে বলে। ৩ রানের জয়ে যেন সেমিফাইনালই পাড়ি দিল। আর এবার সেই পাকিস্তান ম্যাচ। যেটি অঘোষিত সেমিফাইনাল ছাড়া আর কিছুই নয়।
দুই ম্যাচ জিতে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতের। যদিও নিয়মরক্ষার ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক টাই ম্যাচ দেখালো ভারত। অন্যদিকে দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে আফগানিস্তান। ফলে ১ ম্যাচ করে জেতা বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলই হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালিস্ট।
সর্বশেষ এই পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সেবার ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। তবে দুই দলেই তারপর এসেছে বেশকিছু পরিবর্তন। পাকিস্তান সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে। আর বাংলাদেশ সবধরনের ক্রিকেটেই অনেকটা এগিয়েছে।
তবে চলতি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দলই সুপার ফোরে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে। আবার দুই দলই ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
বাংলাদেশের একাদশ (সম্ভাব্য): লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তানের একাদশ (সম্ভাব্য): ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান আলী, উসমান খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএমএস