এশিয়া কাপের ১৪ তম আসরের প্রথম ম্যাচের পর থেকেই দলে নেই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ওপেনার তামিম ইকবাল। হাতের আঙুলে ব্যথা নিয়ে দেশে ফিরেছেন দলের অন্যতম শক্তি সাকিব আল হাসানও।
কিন্তু এই ‘পঞ্চপাণ্ডব’র বাইরে তেমন কোনো ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সই বলার মতো নয়। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ মিঠুন এগিয়ে আছেন অন্যদের চেয়ে। নিজেদের প্রমানে কার্পণ্য করেননি এক বিন্দু।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ের মাত্র একদিন পরই ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। এশিয়া কাপের মর্যাদার এই ফাইনালের আগে আবারো আলোচনায় তরুণদের পারফরম্যান্স! দলের জয়ে কোনোভাবেই নিজেদের সামনে রাখতে পারছেন না তরুণরা। ফাইনালেও নিজেদের প্রমাণ না করতে পারলে, যেমন নড়বড়ে হয়ে পড়বে তাদের দলের জায়গা তেমনি দলের জন্যও হয়ে উঠবেন প্রশ্নের কারণ।
শক্তি, পরিসংখ্যান ও পারফরম্যান্স সবদিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। এমন একটি দলের বিপক্ষে জিততে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ দলের তরুণ ক্রিকেটারদের জ্বলে উঠতেই হবে।
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ে ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ মুশফিক ও মাহমুদউল্লার সঙ্গে সমান তালে ব্যাট হাতে লড়েছেন মিঠুন। অপরদিকে বল হাতে মাশরাফি-সাকিবকে সঙ্গ দেন মেহেদি মিরাজ-মোস্তাফিজ। তবে নাজমুল হাসান শান্ত বা লিটন দাসের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা দেখাতে পারেননি নিজের প্রতিভা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রপ পর্বের ম্যাচে ১৩৬ রানের লজ্জার পরাজয় পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে একমাত্র অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি ছাড়া আর কোনো তরুণের কথা বলার মতো পারফরম্যান্স নেই।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের দিন ব্যাট করতে নেমে নাজমুল ইসলাম শান্ত ৭, মিথুন ৯, মোসাদ্দেক ১২ করে সাজঘরে ফেরেন। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে ৪২ রান আসে কেবল মিরাজের কাছ থেকে।
সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ রানের রুদ্ধশাস জয়েও ব্যাট হাতে লড়াই করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস। নাজমুল হোসেন শান্ত ৬, মিথুন ১ রান করেন। অভিষিক্ত তরুণ স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ৮ ওভারে ২৯ রান দিলেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত ‘সেমিফাইনালে’ও সেই মেহেদি মিরাজ, মিঠুন আর মোস্তাফিজই দেখিয়েছেন তাদের ঝলক। বাকিরা থেকে গেছে সেই আড়ালেই।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপে স্বপ্নের ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। তামিম-সাকিব ছাড়া বাংলাদেশের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত। এমন ম্যাচে শুধু সিনিয়রদের উপর নির্ভরতা কিছুতেই কাম্য নয়। করতে হবে দলগত পারফরম্যান্স। এগিয়ে আসতে হবে তরুণদের। এবার অন্তত নিজেদের প্রমান করুক তরুণরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
এমকেএম