ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাশরাফি ‘ক্যাপ্টেন অব এশিয়াকাপ’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
মাশরাফি ‘ক্যাপ্টেন অব এশিয়াকাপ’ মাশরাফি-রমিজ রাজা। ছবি: বাংলানিউজ

ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ। এরমধ্যে এশিয়াকাপেই তিনবার। শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন উইকেটে বাংলাদেশ হারলেও ভারতকে খেলতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ এক জয় দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ ফাইনালে পৌঁছানোর পেছনে মুশফিকুর রহিম-মোস্তাফিজুর রহমান-মোহাম্মদ মিঠুনদের অবদান কোনো অংশেই কম নয়। তবে এক কথায় স্বীকার করতে হবে সবচেয়ে বড় অবদান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার।

তার তড়িৎ ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত একাধিকবার দলকে পিছিয়ে পড়া থেকে সামনে এনেছে। পাশাপাশি ছিল তার পারফরম্যান্স।

বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই নেতিবাচক উক্তি দেওয়া কেউও মাশরাফির অধিনায়কত্বের শক্তিকে অস্বীকার করতে পারেন না। যেমন পাকিস্তানের  সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কিংবা এর খেলোয়াড়দের পক্ষে কখনো কথা বলতে শোনা যায়নি পাকিস্তানের সাবেক এ ক্রিকেটারকে। এমনকি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের পক্ষে কথা বলেন, তাদের প্রশংসায় ভাসান তবু বাংলাদেশের পক্ষে কখনো তার কন্ঠ শোনা যায় না।  

সেই রমিজ রাজাই এবার মাশরাফিকে ‘ক্যাপ্টেন অব এশিয়াকাপ’ বলে স্বীকার করে নিলেন। এমনকি এশিয়া কাপের বিদায়ী বক্তব্য দেয়ার সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসান তিনি। বিশেষ করে অধিনায়ককে। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারেও মাশরাফির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি।

ফাইনাল ম্যাচে স্বল্প পূঁজি নিয়েও শেষ বল পর্যন্ত লরাই করার প্রসঙ্গ টেনে ,ইয়াচ শেষে রমিজ রাজা বলেন, ‘অনেক ঘোরাঘুরি হলো। কখনো দুবাই, কখনো আবুধাবি, কখনো প্রচন্ড গরমে, কখনো আবার সন্ধ্যায়; এশিয়া কাপের কোনো তুলনা হয় না। দুইটা সেরা দলই ফাইনাল খেলেছে। তবে ভারতকে হারানো কঠিন ছিল, কি অসাধারণ ম্যাচ ছিলো। বাংলাদেশ দল মাত্র ২২২ রান করেও ভারতীয় দলকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিল। একদম শেষ বল পর্যন্ত লড়াই হয়েছে। এভাবেই চ্যাম্পিয়ন দল খেলে, এভাবেই চ্যাম্পিয়ন হতে হয়। আর এভাবেই নতুন দল উঠে আসে, নিজেদের জাত চেনায়। ’

মাশরাফিকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ খেলায় ব্যক্তিগত সাফল্যের বিকল্প নেই। অনেক খেলোয়াড়ই ব্যক্তিগত সাফল্যে উজ্জ্বল ছিলেন। যেমন শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, মোস্তাফিজুর রহমান বা আমার দৃষ্টিতে এশিয়া কাপের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আমি একারণে এটা বললাম যে, মাশরাফির কাছে সাকিব আল হাসান ছিলেন না, তামিম ইকবাল ছিলেন না। তার কাছে ছিল অর্ধেক শক্তির দল, টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি ছিলো মাত্র ১৬ রানের। এরপরেও তিনি এই দলকে নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, এই দলকে সামনে টেনেছেন এবং ভারতের সাথে সমানে সমান লড়াই করে দেখিয়েছেন। ’

শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচ শেষে টুইটারে রমিজ রাজা লেখেন, ‘এশিয়াকাপ ২০১৮ একটি অসাধারণ ফাইনাল। রোহিত একজন দারুণ নেতা কিন্তু আমার কাছে ক্যাপ্টেন অব দ্য টুর্নামেন্ট মাশরাফি মর্তুজা। সে সাকিব-তামিমের অভাব বুঝতে দেননি দলে। তারা প্রায় সফল হয়ে হয়ে গেছিল। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।