শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দুই তরুণ ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের মুগ্ধতা ছড়ানো ব্যাটিং, লো স্কোরিং ম্যাচে প্রতিপক্ষকে আটকে দিতে হিসেবি বোলিং এবং দু’দুটি ম্যাচে কম রান করেও ভারত পাকিস্তানের মতো এশিয়ার জায়ন্টদের খাবি খাওয়ানো তাকে খুবই আপ্লুত করেছে।
অন্যদিকে, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে শিষ্যদের অসমাপ্ত ব্যাটিং তাকে হতাশ করেছে।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এমন অভিজ্ঞতার জানান দেন।
স্টিভ বলেন, এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। এই সফর থেকে অনেক ভালো পয়েন্ট বের হয়ে এসেছে। আমরা স্কোয়াড সম্পর্কে ভালো জেনেছি, এবারের সফরে। আর ফাইনাল ম্যাচটা দারুণ এক মুহূর্ত ছিল। আক্ষেপ আমরা ম্যাচটা শেষ করতে পারিনি। ছেলেরা দারুণ পারফর্ম করেছে, বিশেষ করে বোলাররা। তারা চেষ্টা করেছে লো স্কোর ডিফেন্ড করার। আমরা সুযোগ নষ্ট করেছি। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়েছি। আশা করি বাংলাদেশি মানুষজন দেখেছে। এই দলটি সত্যিই লড়াই করা শুরু করেছে।
‘তবে কিছুটা হতাশ। কিন্তু আপনাকে বিষয়গুলো বুঝতে হবে। আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করেছি। আমরা ভালো পারফর্ম করেছি। ভারতীয় দল খুবই ভালো, আমরা সবাই জানি। তাদের দল মিলেনিয়ার ক্রিকেটারে ভরা, আর বেঞ্চে অনেক মিলেনিয়ার ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের একদম শেষ বল পর্যন্ত ঠেলে নেওয়া খুবই ভালো পারফর্মেন্স ছিল। শুধু একটু হতাশ, আমরা শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করতে পারিনি। ’
শিরোপা খেদের পাশাপাশি আছে দুই অভিজ্ঞ শিষ্য সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে হারানোর বেদনাও তার।
তিনি বলেন, ছেলেরা তাদের সবটা ঢেলে দিয়েছে। আমরা আমাদের সেরা দল নিয়ে খেলতে পারিনি। সাকিব-তামিম কেউই ছিল না। এছাড়া টুর্নামেন্টে আরও চারটি দল ছিল, যারা ফাইনালে খেলতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এইচএল/টিএ