সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাসের আউট নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশি হ্যাকাররা হ্যাক করেন কোহলির ওয়েবসাইট। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একমাত্র লিটন দাস বুক চিতিয়ে লড়াই করে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন।
কিন্তু ইনিংসের ৪১তম ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় লিটনের ওই বিতর্কিত স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পরে আউট হয়ে যাওয়ার মুহূর্তেই। ফলে মাত্র ২২২ রানেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ওই মুহূর্তে লিটনের ওই আউটটি না হলে বাংলাদেশের স্কোর ২৫০ ছাড়িয়ে যেত বলেই ধারণা করা হয়।
ধোনির স্ট্যাম্পিংয়ের পর ফিল্ড আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের সহায়তা নিলে রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় লিটনের পা লাইনের উপর ছিল। তবে লাইনের ভেতরে কোনো অংশ ছিল না। কিন্তু ‘বেনিফিট অব ডাউট’ অনুসারে সিদ্ধান্ত ব্যাটসম্যানের পক্ষে যাওয়ার কথা থাকলেও থার্ড আম্পায়ার রড টাকার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন।
ব্যক্তিগত ১২১ রানে লিটনের ওই আউট খেলা চলাকালীন সময়েই অনেক বিতর্ক ছড়ায়। ম্যাচ শেষে এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন বাংলাদেশি সমর্থকরা।
এরপর বাংলাদেশি হ্যাকারদের গ্রুপ ‘সিএসআই’ ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ওয়েবসাইট হ্যাক করেন। ওয়েবসাইটের গ্যালারি সেকশনে তারা লিটন দাসের ওই আউটের ছবি এবং ‘সিএসআই’-এর লোগো জুড়ে দেয় এবং তাতে লিখে দেয়, ‘প্রিয় আইসিসি, ক্রিকেট তো ভদ্রলোকের খেলা ছিল তাই না? সব দলেরই কি সমান অধিকার থাকা উচিৎ নয়? আপনারা যদি পুরো বিশ্বের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা না চান এবং আম্পায়ারের বিপক্ষে ব্যবস্থা না নেন তাহলে তৈরি থাকুন যতবার সাইট রিকভার করবেন ততবার হ্যাক করা হবে। ’
তবে আম্পায়ারদের নিয়ে আপত্তি থাকলেও ভারতীয় সমর্থকদের কোনো অসম্মান করতে চান না বলেও পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন হ্যাকাররা।
‘এবং আমার প্রিয় ভারতীয় ভাই-বোনেরা, আপনাদের কোনো অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দয়া করে একটু ভাবুন। আপনার দলের সঙ্গে এমন অবিচার হলে আপনি কি কেমন বোধ করতেন? খেলাধুলায় প্রত্যেক দলের সম্মান সুযোগ থাকা উচিৎ। ’
তবে হ্যাক হওয়ার প্রায় একদিন পর কোহলির ওয়েবসাইট ফের আগের অবস্থায় দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ০৩ অক্টোবর, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস