মাশরাফির ক্ষতবিক্ষত সেই পায়ে নাকি আবারও অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করতে বলতে পারেননি বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
‘ওর পায়ে একটা বল সরাসরি আঘাত লেগেছিলো। এতে উরুতে রক্ত জমে যায়। স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটা রক্ত জমাট বেধে তৈরি হয়েছে। তবু এটা আমরা সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য কালকে আরো একটা স্ক্যান করবো। যা আমাদের কনফার্ম করবে যে, এটা জমাট বাধা রক্ত নাকি অন্য কিছু। যদি জমাট বাধা রক্ত না হয়, তাহলে দুটি উপায়ে এগোনো যেতে পারে। একটি হলো একটু রক্ষণশীল উপায়। এতে সাধারণত দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে শরীরই এটা শুষে নেয়। সেটা না হলে অস্ত্রোপচার করে সরিয়ে ফেলতে হয়। কিন্তু সেটা খুবই বিরল ব্যাপার। ’
শুধু উরুতেই কেন? পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনালে উড়ে গিয়ে শোয়েব মালিককে তালুবন্দি করার পর সবাই দেখেছেন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে ডানহাতে কণিষ্ঠ আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে আবার নেমেছেন। সেই চোটও কম গুরুতর নয়। তিন সপ্তাহ তাকে মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছে। আছে থাই ইনজুরিও।
‘কনিষ্ঠ আঙ্গুলের আঘাতটা একটু গুরুতর। এই ধরনের ইনজুরি সারতে সপ্তাহ তিনেকের মতো সময় লাগে। এরমধ্যে কিছুটা সময় চলে গেছে। আমরা আশা করি আর দুই সপ্তাহের মধ্যে খেলার মতো অবস্থায় ফিরে আসবে মাশরাফি। ’
‘এ ছাড়াও ছোট একটা থাই ইনজুরি আছে। ওটা আমরা বিবেচনায় রেখেছি। থাই ইনজুরিটা কালকে পড়শুর মধ্যে আমরা কনফার্ম হতে পারব কতটুকু মারাত্মক। এখন পর্যন্ত আশা করছি সপ্তাহ দু-একের মধ্যে সে খেলার মধ্যে ফিরে আসতে পারবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম