শুরুটা করেছিলেন উসমান খাজা। ওপেনিং জুটিতে ফিঞ্চের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তিনি।
পঞ্চম দিনে পুরো ৯০ ওভার খেলতে হবে, তাও দুবাইয়ের গরমে। হাতে ৭ উইকেট, রান প্রয়োজন ৩২৬। জেতার কল্পনা নিশ্চয়ই অজিরাও করেনি। ফলে ড্র করাই ছিল টার্গেট। আর সেই টার্গেটে দলকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান ওপেনার উসমান খাজা। তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে লড়াই করে যান অভিষিক্ত হেড।
ব্যক্তিগত ৭২ রানে মোহাম্মদ হাফিজের স্পিনে আউট হওয়ার আগে ১৭৫ বলে ৭২ রান করে দলকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে সহয়তা করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে তার বিদায়ের পর ইয়াসির শাহ’র ঘূর্ণিতে বিদায় নেন লাবুসাগনেও। আবারও পথ হারাতে বসা দলকে ফের রাস্তা দেখান টিম পেইন-খাজা। দুজনে গড়ে তোলেন ৭৯ রানের জুটি।
এরপর আবার ব্যাটিং ধ্বসের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এবার ৩০২ বল খেলে ১১ চারে ১৪১ করা খাজাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন ইয়াসির শাহ। তার বিদায়ের পরই স্কোর বোর্ডে ২ রান যোগ হতেই বিদায় নেন মিচেল স্টার্ক ও পিটার সিডল। ম্যাচে নিশ্চিত জয় দেখছিল তখন পাকিস্তান। কিন্তু দাঁড়িয়ে যান পেইন।
৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা অজিদের সামনে তখনও প্রায় ১২ ওভার পাড়ি দিতে হতো। বোলিংয়ে ইয়াসির শাহ-বিলাল আসিফ-আব্বাসরা তখন ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। ফিল্ডাররা টেল এন্ডারদের ঘিরে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ওই অবস্থায়ই লায়নকে সঙ্গী করে দলকে সম্মানজনক ড্র এনে দেন পেইন।
৬১ রানের ইনিংস খেলার পথে ২১৯ মিনিট ক্রিজে থেকে পেইন নিজে খেলেছেন ১৯৪ বল আর লায়ন ৩৪ বল। তাদের আউট করার জন্য শেষে পিচের চারপাশে ফিল্ডার সেট করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা বিফল করে দেন পেইনরা।
১৪০তম ওভারের পঞ্চম বলটা যখন ঠেকিয়ে দিলেন পেইন অজিদের ড্রেসিংরুম তখন উল্লাসের মঞ্চ যেন। ওভারের আরও এক বল বাকি থাকলেও পাকিস্তান তখনই হার মেনে নেয়।
প্রথম ইনিংসে ৮৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪১ রানের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন উসমান খাজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৪৮২/১০ (মোহাম্মদ হাফিজ ১২৬, হারিস সোহেল ১১০, আসাদ শফিক ৮০, পিটার সিডল ৫৮/৩)
ও ১৮১/৬ (ডিক্লেঃ) (ইমাম-উল-হক ৪৮, হল্যান্ড ৮৩/৩)
অস্ট্রেলিয়া: ২০২/১০ (উসমান খাজা ৮৫, ফিঞ্চ ৬২, বিলাল আসিফ ৩৬/৬, মোহাম্মদ আব্বাস ২৯/৪)
ও ৩৬২/৮ (উসমান খাজা ১৪১, হেড ৭২, পেইন ৬১, ইয়াসির শাহ ১১৪/৪, আব্বাস ৫৬/৩)
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এমএইচএম