ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পৃথ্বীকে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার হুমকি!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
পৃথ্বীকে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার হুমকি! পৃথ্বী শ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন বিস্ময় বালক পৃথ্বী শ। স্কুল ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৫৪৬ রান করেই তার বিস্মিত করার শুরু। সেই ধারা বজায় রেখেছেন বড় দলগুলোর হয়েও। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারতের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। আর সেই পৃথ্বীকেই কিনা দেওয়া হলো ক্রিকেট ছাড়ার হুমকি!

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক পৃথ্বীকে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএমএস)। অবশ্য কারনটা কিছুটা অদ্ভুতই বলতে হবে।

জন্ম বিহারে হলেও পৃথ্বীর বড় হওয়া মহারাষ্ট্রে। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন। লেখাপড়া-খেলাধুলা সবই মহারাষ্ট্রে। কিন্তু জন্মসূত্রে বিহারি হওয়ায় নিজেকে বিহারের ছেলে বলে পরিচয় দিতেই বেশি ভালবাসেন এই ব্যাটিং বিস্ময়। আর এতেই খেপেছে  এমএমএস।

তাদের দাবি হয় নিজেকে মহারাষ্ট্রের ছেলে বলে পরিচয় দিতে হবে, আর না হয় মহারাষ্ট্র ছাড়তে হবে। আর তা না হলে মহারাষ্ট্রে থাকতে হলে ক্রিকেট ছাড়তে হবে। রীতিমতো ফোন দিয়ে পৃথ্বীর পরিবারকে হুমকিই দিচ্ছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনারা। ইতিমধ্যে একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিংহ এমনটা জানান ভারতীয় গণমাধ্যমকে। পৃথ্বীকে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে অখিলেশ প্রসাদ বলেন, ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। পৃথ্বী বিহারের মানপুরের ছেলে। অথচ ক্রিকেট শিখেছে মহারাষ্ট্র থেকে। এখান থেকেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। যদি নিজেকে বিহারের বলেই দাবি করে পৃথ্বী, তাহলে আর মহারাষ্ট্রে থাকতে পারবে না। ’

তবে সাংসদের এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এমন কথা বলছেন অখিলেশ প্রসাদ। তবে এ প্রসঙ্গে পৃথ্বী কোনো কিছুই জানাননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।