শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলে সেটিও পূরণ হয়ে যাবে মাশরাফি-মুশফিকদের।
বরাবরই ক্রিকেট পাগল চট্টগ্রামের লোকজন সেই ‘বাংলাওয়াশ’ উদযাপন করতেই যেন ছুটির দিনে ভিড় জমালেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ- কে নেই সেই দলে? শহরের সব ক্রীড়াপ্রেমীর গন্তব্যই যেনো সাগরিকার স্টেডিয়াম পাড়া।
তবে স্টেডিয়াম জুড়ে হাজার হাজার লোকের ভিড়ে আলাদা করেই নজর কাড়লেন কলেজ পড়ুয়া এক যুবক। গায়ে প্রিয় দলের জার্সি, মুখজুড়ে হলুদ রঙের ডোরাকাটা দাগ, নাকের ডগায় কালো ছাপ আর দুই ঠোঁটে ঘন লাল লিপিস্টিক।
অভিনব এ সাজে পূর্ব গ্যালারির ৬ নং গেটের পাশে বসা নুর উদ্দীন নামে ওই যুবকটিই যেন জীবন্ত এক বাঘ।
শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের উপজেলা হাটহাজারীর সন্তান নুর উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, টাইগার বাহিনীকে সমর্থন জানাতেই টাইগার সেজে মাঠে এসেছেন তিনি।
নুর উদ্দীনের ভাষায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনন্য সাফল্য পৃথিবীজুড়েই দেশের সম্মান বাড়িয়েছে। মাশরাফি-মুশফিক, সাকিব-তামিমের মতো আর্ন্তজাতিক মানের খেলোয়াড় এখন আমাদের।
বিষয়টি একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তাই তাদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাতেই টাইগার সেজে মাঠে এসেছি।
প্রায় ২০ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুধু নুর উদ্দীনই নন, ম্যাশের টিমের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাতে হাতে লাল সবুজের পতাকা, প্রিয় খেলোয়াড়কে ট্যাগ করে ব্যানার আর বুক ভরা শুভকামনা নিয়ে হাজির হয়েছেন স্টেডিয়াম ভর্তি লোক।
তাদের সবার উদ্দেশ্য একটাই, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে দলকে প্রিয় দলের ‘বাংলাওয়াশ’ উদযাপন করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এমআর/এএটি/টিসি