চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের বোলাররা।
অথচ শুরুতেই ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। বোলিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনারকে ৩ ওভারের মধ্যে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দুই বোলার আবু হায়দার ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে তৃতীয় বলেই জিম্বাবুয়ের ওপেনার চিপহাস ঝুয়াওকে বোল্ড করে দেন সাইফউদ্দিন।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে আরেক ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে সরাসরি বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান রনি। মাত্র ৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
কিন্তু শুরুর ধাক্কা দারুনভাবে সামাল দেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন টেইলর। দুজনে গড়ে তুলেন ১৩২ রানের জুটি। এর মাঝে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৪৯ বলে ফিফটিও তুলে নেন টেইলর।
এর আগে ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠা জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন টেইলরকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করে ম্যাচে নিজের প্রথম উইকেট পান স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। স্লপ সুইপ খেলতে গিয়ে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ৭২ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছেন টেইলর।
টেইলর বিদায় নিলেও রানের চাকা সচল রাখেন উইলিয়ামস। এবার তার সঙ্গী হন সিকান্দার রাজা। দুজনে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৪০ রানে নাজমুল ইসলামের বলে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত হন সিকান্দার। কিন্তু অন্য প্রান্তে অটল থাকেন উইলিয়ামস। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার মুরকে নিয়ে গড়েন ৬২ রানের জুটি।
ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আগ্রাসী হয়ে উঠা পিটার মুরকে (২৮) রান আউট করে ফেরান আরিফুল হক। তবে শেষ পর্যন্ত ১৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১২৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামস। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১২৮
এমএইচএম