প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৮৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এই বিশাল টার্গেটও সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে অনায়াসে পেরিয়ে যায় টাইগাররা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরুটাও হয়েছিল দারুন। মাত্র ৬ রানেই জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনারকে বোল্ড করে চমৎকার শুরু এনে দেন দুই পেসার সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার।
কিন্তু এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন টেইলর ও শেন উইলিয়ামস। দুজনে মিলে ১৩২ রানের জুটি গড়েন। ২৭তম ওভারে ৭২ বলে ৭৫ রান করা টেইলরকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
টেইলর বিদায় নেওয়ার পর ফের সিকান্দার রাজাকে নিয়ে জুটি গড়েন শেন উইলেইয়ামস। এর মাঝে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামস। ৪৩তম ওভারে সিকান্দারকে (৪০) সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করেন অপু। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার মুরকে (২৮) নিয়ে দলকে রানের পাহাড়ে নিয়ে যান উইলিয়ামস। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১২৯ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি।
বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসে শুরুর ওই দুই ঝলক ছাড়া বলার মতো ছিলনা কিছুই। প্রায় সবাই ছিলেন খরুচে। ৮ ওভারে ৫৮ রান খরচে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার নাজমুল ইসলাম অপু।
দিকে জবাব দিতে নেমে একদম প্রথম ওভারের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস। তবে তার উইকেট হারালেও পাল্টা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়েন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। দুজনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৯২ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ১১৭ করে মাসাকাদজার বলে আউট হয়ে ফেরেন সৌম্য। ৮১ বলে করা তার সেঞ্চুরিটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়।
সৌম্য বিদায় নিলেও এর আগেই ইমরুলকে নিয়ে ২২০ রানের অসাধারণ জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এর আগের রেকর্ড ছিল সাকিব-তামিমের। চলতি বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তারা ২০৭ রানের জুটি গড়ে রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন।
এদিকে সৌম্য বিদায় নিলেও রানের চাকা সচল রাখেন ইমরুল। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এই ম্যাচে একটি ব্যক্তিগত মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন তিনি। তামিমের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল তামিমের (৩১২)। তিন ম্যাচের এই সিরিজে তার রান যথাক্রমে ১৪৪, ৯০ ও ১১৫, সবমিলিয়ে ৩৪৯। অর্থাৎ, এখন রেকর্ডটি ইমরুলের।
১১২ বল মোকাবেলায় ১০ চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত ১১৫ রানে মাসাকাদজার দ্বিতীয় শিকার পরিণত হয়ে ফেরেন ইমরুল। বাকি পথটা নির্বিঘ্নে পাড়ি দেন মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুন। ফলে ৪৭ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় টাইগাররা। আর সেই সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নেয় তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এমএইচএম