ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার গৌরবময় সময়ের সারথি সাঙ্গাকারা। একটা দীর্ঘ সময় ধরে লঙ্কানদের ব্যাটিং অর্ডারের মূল স্তম্ভ ছিলেন তিনি।
অবসর নেওয়ার আগে টেস্ট ক্রিকেটে তার নামের পাশে যুক্ত হয় ১২ হাজার ৪০০ রান, গড় ৫৭.৪০! এই ফরম্যাটে ৩৮টি সেঞ্চুরি আর ৫২টি ফিফটি করার কৃতিত্ব আছে তার। এই ফরম্যাটের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। সাঙ্গাকারার ওয়ানডে ক্যারিয়ারও তার ক্লাস বজায় রেখেছে। এই ফরম্যাটে ৪০৪ ম্যাচে তার রান ১৪ হাজার ২৩৪ রান, গড় ৪২! এই ফরম্যাটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি।
শুধু ব্যাটিং কেন, উইকেটরক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন সমীহ জাগানিয়া। মুত্তিয়া মুরালিধরনের মতো বিস্ময় স্পিনারের বলে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় থাকা বিশ্বের অনেক বড় মাপের উইকেটরক্ষকের জন্যও অসুবিধার কারণ হওয়ার কথা। সেখানে তার অনায়াস কিপিং ছিল তার ব্যাটিংয়ের মতোই রীতিমত দৃষ্টিনন্দন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৮২টি ডিসমিসাল নিয়ে উইকেটরক্ষকদের তালিকায় শীর্ষে তার নাম। টেস্টে নিয়মিত উইকেটরক্ষক না হয়েও ১৩৪ ম্যাচের ৯০ ইনিংসে ১৫১টি ডিসমিসাল তার।
টেস্ট র্যাংকিংয়ে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার শীর্ষস্থানে ছিলেন সাঙ্গাকারা। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। সেবার ফাইনালে তার ব্যাটিং ঝলকেই শিরোপা জেতে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচসেরাও হন তিনি। সাঙ্গাকারার হাত ধরেই ২০০৭, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০০৯ ও ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে লঙ্কানরা।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই লঙ্কান মহাতারকা।
অন্যদিকে এখনও খেলে যাচ্ছেন এমন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অজি তারকা ডেভিড ওয়ার্নার অন্যতম সেরা। তার আগ্রাসী ও বিধ্বংসী ব্যাটিং যেকোনো বোলারের ঘাম ছুটিয়ে দিতে সক্ষম। তার ‘স্ট্রাইকিং পাওয়ার’ রীতিমত অবিশ্বাস্য।
মাত্র ৭৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪৮.২০ গড়ে ৬ হাজার ৩৬৩ রান করেছেন ওয়ার্নার। টেস্টে তার ২১টি সেঞ্চুরি আর ২৯টি ফিফটিও আছে। আর ১০৬ ওয়ানডেতে ৪৩.৪৩ গড়ে তার সংগ্রহ ৪ হাজার ৩৪৩ রান। এই ফরম্যাটে ১৪টি সেঞ্চুরি আর ১৭টি ফিফটি আছে তার। আর ৭০ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রায় ২৭ গড়ে ১৩টি ফিফটি নিয়ে ১৭৯২ রান তার।
ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সহ-অধিনায়ক এবং আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সাবেক অধিনায়ক। হায়দ্রাবাদের হয়ে তিনি শিরোপাও জিতেছেন। এই বয়সেই সাবেক হয়ে গেছেন শুনতে অবাক লাগলেও এটা সাময়িক। তার মানে অবশ্য এটা নয় যে তিনি আর ফিরবেন না। অধিনায়ক বা সহ-অধিনায়ক হিসেবে সাবেক হলেও ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার ফের ফিরতে চলেছেন।
অনেকেই জানেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি বছরের শুরুর দিকে বল টেম্পারিংয়ে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু খুব শীঘ্রই ফিরতে চলেছেন তিনি। শুরুটা হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে। এমনকি আসন্ন বিপিএলেও তাকে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলতে দেখা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এমএইচএম