ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টাইগারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ওয়াকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
টাইগারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ওয়াকার টাইগারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ওয়াকার-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) জহুর আহমেদে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দাপুটে জয়ের ম্যাচটি চলাকালীন ওয়াকার ইউনিস ছিলেন বিমানে। তাই সেখানে মাশরাফিদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে কিছু বলতে পারলেন না। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তার চোখে মুখে বিস্ময় ফুটে ওঠে। এশিয়ার বহুজাতিক এই টুর্নামেন্টটিতে টাইগারদে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে রীতিমতো মুগ্ধ এক সময়ের কাঁপন ধরানো এই  পাকিস্তান পেসার।

যদিও মাশরাফিদের এমন পারফরম্যান্স তিনি নতুন দেখেননি। কিন্তু যে বিষয়টি তাকে আলোড়িত করেছে সেটা হলো তাদের মানসিকতা।

কেননা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কঠিন মরুময় কন্ডিশনে অনভ্যস্ত দলটি অভ্যস্ত শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান এভাবে নাকানি চুকানিন খাইয়ে দেবে এটা তার ধারণারও বাইরে ছিলো। এমনকি ফাইনালে ভারতকেও প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় সাংবাদিকদের একথা বলেন ওয়াকার।

ওয়াকার বলেন,‘দেখেন বাংলাদেশ সবসময়ই ভাল একটি সাইড। এমন ট্যালেন্টেড একটি দল দেখে আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। আমি যদি ভুল না করি তারা দুবাইয়ে বলতে গেলে খেলেইনি। তারপরেও এমন একটি টুর্নামেন্ট তারা খেললো, দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমি তো বলবো বাংলাদেশ এশিয়া কাপ জিতেই গিয়েছিলো। আমরা সবাই জানি ওরা এমন কিছু পোটেনশিয়াল প্লেয়ার পেয়েছে যারা নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারাতে সক্ষম। সো এটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। ’

কী হয়েছিলো এশিয়া কাপে? গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে সুপার ফোরে সবসময়ের শক্তিশালী দল পাকিস্তান ও বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের দাপুটে আবির্ভাব জানানো আফগানিস্তানকে হারিয়ে উঠেছিলো ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওভারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৩ উইকেটের হারে মাঠ ছেড়েছে।

এশিয়া কাপ শেষ হতে না হতেই এখন মাঠে ও মাঠের বাইরে আলোচনার শীর্ষে ২০১৯ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপ। ক্রিকেট সম্পর্কে যারা কম বেশি খোঁজ খবর রাখেন তাদের সবারই জানা আছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের উইকেট পেস বান্ধব। সেখানে কী করতে হবে পেসারদের?

জানতে চাওয়া হয়েছিলো সাবেক এই পেস ওয়ান্ডারের কাছে। সংবাদ মাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানালেন,  ‘ইংল্যান্ড-ওয়েলসের কন্ডিশন এমন যেখানে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। কেননা ওখানে সুইং পাওয়া যায় । আর ম্যাচটি যদি ডে নাইট হয় তাহলে সুইয়ং পাবেই। আপনি যদি সুইং বোলার হন, আপনাকে আপনার লেংথ ডেলিভারিতে কুইক হতে হবে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ওখানকার লেংথ আলাদা হয়ে থাকে। লেংথের বিবেচনায় আপনাকে ফুলার হতে হবে এবং আপনার সিম আরও ভাল হতে হবে। ’

উল্লেখ্য, ২০১৯ ওয়ানডে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে ৩০ মে। আর পর্দা নামবে ১৪ জুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।