প্রথমবারের মতো অবিক্রিত থেকে গেলেন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লাল সবুজের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান।
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি তার জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মনে হয়েছে।
‘আমি বিগত ৫ আসরের বিপিএলে স্থানীয় প্লেয়ারদের মধ্যে রানের হিসেবে ১০ নাম্বার। যারা দল করেছে তারা মনে হয় বিষয়টি আমলেই নেয়নি। এরপরেও আমি মোটিভেশন হারাতে চাই না। তাহলে আমি হেরে যাব। যাই করি না কেন, মোটিভেশন হারানো মানে আমি নিজে পিছিয়ে যাওয়া। ভাঙবো কিন্তু মচকাবো না। ’
বিপিএলের প্রথম আসরটি অবশ্য বরিশাল বার্নার্সের হয়ে তার মোটেও ভাল যায়নি। ৫ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন ৩৮ রান। কিন্তু পরের আসরেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে খুলনা রয়্যালসের হয়ে ১২ ম্যাচে ৩৯৫ রানে ছিলেন শীর্ষ সংগ্রাহকদের মধ্যে ৫-এ। তৃতীয় আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে ৫ ম্যাচে তার মোট রান সংখ্যা ১০৪। একই দলের হয়ে পরের টুর্নামেন্টে ১২ ম্যাচে করে বসলেন ২৯২। হলেন শীর্ষ সংগ্রাহকদের তালিকায় ১৩তম। ৫ম ও শেষ আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেও শেষের দিকে ছন্দ হারানোয় রংপুরের হয়ে ৮ ম্যাচে করেছেন ১০৮ রান।
পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট তার সামর্থ্য কতখানি। কিন্তু তারপরেও উপেক্ষিত থাকাটা তার প্রত্যাশার বাইরেই ছিলো।
‘একে তো দলে সুযোগ পাচ্ছি না। এরপর বিপিএলে না হওয়াটা…যা হোক তকদিরে ছিলো বলেই বোধ হয়ে এমন হয়েছে। মেনে নেয়া কঠিন। অপ্রত্যাশিত তাই। বিগত আসরগুলোতে যদি আমার পারফরম্যান্স খারাপ হতো তাহলে কিছুই মনে করতাম না। ধরে নিতাম যে আমি ভাল করতে পারিনি তাই কেউ ভাবেনি। ’
‘তবে যেহেতু বিষয়টি আমার হাতে নেই সেহেতু বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। কিন্তু যত তারাতারি মেনে নেয়া যায় ততই ভালো। সামনের দিকে তাকাতে হবে। যেটাই করি সেটা ভালোভাবে করতে হবে। যেটা হয়ে গেছে হয়ে গেছে। এটা নিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। সামনে যে কাজগুলো আছে ঠিক মতো করতে হবে। খেলাটা খেলতে হবে। আর এটা নিয়ে বসে থাকলে আমি ক্ষতিগ্রস্থ হবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস