টাইগারদের কোচের দায়িত্ব নিয়ে নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট তথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজে দলের ভরাডুবি দেখতে হয়েছে রোডসকে। যদিও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফি-সাকিবরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে ভরাডুবির শিকার হতে হয়েছে মুশফিকদের। শুধু শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ ড্র করার স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে সেখানে তিন টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবেন রোডসের শিষ্যরা।
টাইগারদের কোচ রোডস মনে করেন, দেশের মাটিতে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে খেলতে থাকলে একই লেভেলে বিদেশের মাটিতে খেলা কঠিন হবে দলের জন্য। ‘ভালো টেস্ট দল হতে আমাদের আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে,’ বলেন রোডস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামার আগে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
‘আমরা বাংলাদেশে খেলার পদ্ধতি শিখেছি যা আমাদের সেরাদের সঙ্গে (ঘরের মাঠে) প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য এনে দিয়েছে। '
‘যখন আমরা বাইরে যাই, সেখানকার উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হবে তা আমাদের শিখতে হবে। সেসব উইকেটে বল করতে সক্ষম এমন বোলার তুলে আনতে হবে আমাদের। সবচেয়ে বড় কথা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি। আমি বুঝতে পারছি আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। '
তবে বিদেশের মাটিতে ভালো করা যে সহজ হবেনা তা ঠিকই বুঝতে পারছেন রোডস। তিনি বলেন, 'আমরা বাউন্স ও সিমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছু পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। আমরা যে ধরনের পিচে খেলি সেখানে এসব একটু কঠিন। '
তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিন নির্ভর দল গড়ার কথাই জানালেন রোডস। 'আমরা অস্ট্রেলিয়াকে এই স্পিন কন্ডিশনেই হারিয়েছি। আমরা কেন খেলি? জেতার জন্য। তারা (অস্ট্রেলিয়া) ইংল্যান্ডকে হারায়। এটা বিষয় নয় কিভাবে করছেন আপনি, জেতাটাই আসল। '
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বেশিদিন হয়নি। এখনই সব বদলে যাবে এমন স্বপ্নও তিনি দেখেন না। তবে তিনি তো শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে এসেছেন। ফলে শিষ্যদের সেরাটা বের করে আনাই তার কাজ। তবে সেজন্য কিছু সময়ও দিতে বললেন তিনি।
'আমি একজন শিক্ষক এবং খেলোয়াড়দের আরও ভালো কিভাবে করা যায় সেই চেষ্টা করাই আমার কাজ। আমাদের সময় দিন; চলুন দেখি কি হয় এবং এই ব্যাটসম্যানরা কতোটা পথ যেতে পারে। '
এরইমধ্যে দেশে ও বিদেশের মাটিতে ভালো করতে সক্ষম এমন খেলোয়াড় খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ফাস্ট বোলার খালেদ আহমেদকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে একারণেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে সিলেটের হয়ে লম্বা সময় ধরে বল করে নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন এই তরুণ বোলার। এছাড়া হাই পারফরম্যান্স আর বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়েও ভালো করেছেন তিনি।
খালেদকে নিয়ে রোডসের প্রত্যাশা বেশ উঁচুতে। 'আমি খালেদকে নিয়ে বেশ আশাবাদী, বিশেষ করে যখন সে ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০ উইকেট নিয়ে আমাদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিলো, ফ্ল্যাট উইকেটে যা বেশ কঠিন কাজ। তার উচ্চতা বেশ ভালো। সে উইকেট নিতে পারে। অবশ্যই অধিকাংশ কন্ডিশনে বল করার মতোই বোলার সে,' বলেন রোডস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
এমএইচএম