৬০ ওভারে ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৫।
এর আগে শুরুতে অল্প রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
দেখেশুনে খেলতে থাকা ইমরুল কায়েসও টিকতে পারলেন না। সিকান্দার রাজার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১০৩ বলে ৬টি চারে ৪৩ করেন এই ওপেনার। সিকান্দার রাজার তৃতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৬ রান করেন এই দলনেতা।
ব্র্যান্ডন মাভুতার বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরই মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দু’দল।
সিলেট টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে রেকর্ডই গড়তে হবে। তৃতীয় দিনে টাইগারদের ৩২১ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। তবে দিন শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান করায় কিছুটা স্বস্তি পায় স্বাগতিক শিবির।
জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ করার পর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ধস নামে। ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহ’র নেতৃত্বে দলটি। পরে সফরকারীরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হয়।
এখনো পর্যন্ত রান তাড়া করে পাওয়া বাংলাদেশের তিন জয়ের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালে। সে ম্যাচে ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিজেদের শততম টেস্টে জয়টি এসেছিল ১৯২ রান তাড়া করে। আর ঘরের মাঠে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড কেবল একটিই। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১০১ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা।
আর বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় রান তাড়া ২০০৮ সালে ৩১৭ করে নিউজিল্যান্ডের জয়। এবার জিততে পারলে তাই একইসঙ্গে দুটি রেকর্ড নতুন করে গড়বে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ০৬ নভেম্বর, ২০১৮
এমএমএস