এই হারের ফলে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। আর ২০০১ সালের পর বিদেশের মাটিতে প্রথমবার জয় পেল জিম্বাবুয়ে।
যদিও সিলেট টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে রেকর্ডই গড়তে হতো। এখনো পর্যন্ত রান তাড়া করে পাওয়া বাংলাদেশের তিন জয়ের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালে।
তৃতীয় দিনে টাইগারদের ৩২১ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। তবে দিন শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান করায় কিছুটা স্বস্তি পায় স্বাগতিক শিবির। কিন্তু চতুর্থ দিন বিনা উইকেটে দলীয় ফিফটি এলেও এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলেন ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা। দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত কোনো রকম টিকে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে।
জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ করার পর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ধস নামে। ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহ’র নেতৃত্বে দলটি। পরে সফরকারীরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হয়।
৩২১ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে সূচনাটা ভালো করলেও নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে অল্প রানের ব্যবধানে প্রথম দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সিকান্দার রাজার বলে শট খেলতে গিয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন ওপেনার লিটন দাশ (২৩)। আর পেসার কাইল জারভিসের বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে বোল্ড হন মুমিনুল হক।
দেখেশুনে খেলতে থাকা ইমরুল কায়েসও টিকতে পারলেন না। সিকান্দার রাজার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১০৩ বলে ৬টি চারে ৪৩ করেন এই ওপেনার। সিকান্দার রাজার তৃতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৬ রান করেন এই দলনেতা।
ব্র্যান্ডন মাভুতার বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরই মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দু’দল।
টাইগারদের ভরসা মুশফিকুর রহিমও সেই মিছিলে সামিল হলেন। ব্র্যান্ডন মাভুতার বলে তিনি ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন। পরে একই বোলারের বলে মেহেদি হাসান মিরাজ ৭ রান করে আউট হন।
তাইজুল ইসলামকে শূন্য রানে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা তুলে নিলে বাংলাদেশ অষ্টম উইকেট হারায়। আর নাজমুল ইসলাম অপু কোনো স্কোর না করে মাভুতার বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন।
দুই ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ত্রিশোর্ধ ইনিংস খেলা আরিফুল ৩৭ বলে ৩৮ করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বিদায় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ০৬ নভেম্বর, ২০১৮
এমএমএস