৯০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করলো নিউজিল্যান্ড। আর পাকিস্তান পেল ৩২৮ রানের বিশাল লিড।
ওপেনার জিত রাভালকে বোল্ড করে শুরু করেন ডানহাতি লেগস্পিনার ইয়াসির। পরবর্তীতে একে একে তুলে নেন আরও ৭টি উইকেট। কিউইদের দলীয় ৬১ রানে ২৮তম ওভারেই তুলে নেন তিনটি উইকেট। ওভারটি ছিল ঠিক এমন, উইকেট, ডট, উইকেট, ডট, উইকেট।
পরে আরও দুটি ওভারে দুটি করে উইকেট লাভ করেন ইয়াসির। তিনি পাঁচ ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
রাভাল ৩১, টম ল্যাথাম ২২, ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত ২৮ রান করেন। দলের বাকিদের স্কোর ছিল মোবাইলের ডিজিট।
মাত্র ১২.৩ ওভারে ৪১ রানে এক মেডেনসহ ৮ উইকেট নেওয়া ইয়াসির এইরমধ্যে বেশ কয়েকটি কীর্তি গড়ে ফেলেছেন।
ইয়াসির এদিন নির্দিষ্ট একটি স্পেলে মাত্র ১৩ বলে কোনো রান না খরচ করে ৫টি উইকেট তুলে নেন। তিনি ইংল্যান্ড গ্রেট জিম লেকারের এই রেকর্ডে ভাগ বসান। লেকার ১৯৫৬ সালের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একইরকম কীর্তি গড়েছিলেন। সে ম্যাচে লেকার আবার এক ইনিংসে ১০ উইকেটসহ পুরো টেস্টে রেকর্ড ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস অবশ্য ১২ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে তিনি বিনিময়ে ২১ রান খরচ করেছেন। ইয়াসির ও লেকার সেখানে ব্যতিক্রম।
এদিকে প্রথম কোনো বোলার হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ইয়াসির। ১৬ টেস্টে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে এদিন তৃতীয় সেরা বোলিং ইনিংস করলেন ইয়াসির। আগের দু’জন হলেন আবদুল কাদির (৯-৫৬, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড) আর সরফরাজ নওয়াজের (৯-৮৬, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
এমএমএস