পাকিস্তানের ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১৮ রানের (ডিক্লেয়ার) বিশাল সংগ্রহের জবাবে সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুবাইয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯০ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
শুরুতে ৫০ রানের জুটি গড়েন দুই কিউই ওপেনার টিম ল্যাথাম ও জিত রাভাল।
পরে আরও দুটি ওভারে দুটি করে উইকেট লাভ করেন ইয়াসির। তিনি পাঁচ ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
রাভাল ৩১, টম ল্যাথাম ২২, ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত ২৮ রান করেন। দলের বাকিদের স্কোর ছিল মোবাইলের ডিজিট।
মাত্র ১২.৩ ওভারে ৪১ রানে এক মেডেনসহ ৮ উইকেট নেওয়া ইয়াসির এইরমধ্যে বেশ কয়েকটি কীর্তি গড়ে ফেলেছেন।
ইয়াসির এদিন নির্দিষ্ট একটি স্পেলে মাত্র ১৩ বলে কোনো রান না খরচ করে ৫টি উইকেট তুলে নেন। তিনি ইংল্যান্ড গ্রেট জিম লেকারের এই রেকর্ডে ভাগ বসান। লেকার ১৯৫৬ সালের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একইরকম কীর্তি গড়েছিলেন। সে ম্যাচে লেকার আবার এক ইনিংসে ১০ উইকেটসহ পুরো টেস্টে রেকর্ড ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস অবশ্য ১২ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে তিনি বিনিময়ে ২১ রান খরচ করেছেন। ইয়াসির ও লেকার সেখানে ব্যতিক্রম।
এদিকে প্রথম কোনো বোলার হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ইয়াসির। ১৬ টেস্টে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে এদিন তৃতীয় সেরা বোলিং ইনিংস করলেন ইয়াসির। আগের দু’জন হলেন আবদুল কাদির (৯-৫৬, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড) আর সরফরাজ নওয়াজের (৯-৮৬, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)।
নিউজিল্যান্ডকে ৯০ রানে অল আউট করে ৩২৮ রানের লিড নেয় পাকিস্তান। কিন্তু নিজেরা ব্যাটিংয়ে না নেমে তারা কিউইদের ফলোঅন করাতে পাঠায়। এবারও সেই ইয়াসির ঝলক। দলীয় ১০ রানেই ওপেনার রেভাল (২) ইয়াসিরের বলে পাক অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। এরপর কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকেও (৩০) প্রায় একই কায়দায় স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ইয়াসির।
দিন শেষে যখন ৪৪ রানে ল্যাথাম ও রস টেইলর ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তখনো পাকিস্তানের চেয়ে ১৯৭ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড, হাতে আছে ৮ উইকেট। ম্যাচের যে পরিস্থিতি তাতে এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে এই ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় ফিরতে চলেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএইচএম