শনিবার (০১ ডিসেম্বর) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের চেয়ে ৪৩৩ রানে পিছিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় দিনের শেষ ভাগে ব্যাট করতে নেমেই দুই টাইগার স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার।
এরপর উইন্ডিজ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামাতে সাকিবের সঙ্গে যোগ দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনে মিলে তুলে নেন উইন্ডিজের প্রথম পাঁচ উইকেট। এর মধ্যে মিরাজ একাই নেন তিন উইকেট। সব উইকেটই বোল্ড।
মাত্র ২৯ রান সংগ্রহ করতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের এরপরও ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। তবে বেশ কয়েকবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ওই ৫ উইকেট হারিয়েই ৭৫ রান সংগ্রহ করে টাইগারদের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৪৩৩ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে ক্যারিবীয়রা।
বাংলাদেশ আজ ১২৮ বছর আগের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে। সর্বশেষ এক ইনিংসে কোনো দলের টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়েছিলেন। আর সবমিলিয়ে তৃতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল। সর্বশেষ ১৮৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচ অজি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়েছিলেন।
এর আগে ৫ উইকেট হাতে রেখে আগেরদিনের ২৫৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ দিনের শুরু থেকেই বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন। তাতে দ্রুতই বাংলাদেশের স্কোর তিনশ ছাড়িয়ে যায়। এই দুজনের জুটিও হয় ১১১ রানের। তবে ব্যক্তিগত ৮০ রানে উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচের বলে আউট হয়ে ফেরেন সাকিব।
সাকিবের বিদায়ের পর লিটন দাসকে নিয়ে ফের জুটি গড়ে তুলেন রিয়াদ। দলীয় ৩৯৩ রানে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের বলে বোল্ড হওয়ার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন লিটন আর রিয়াদের সঙ্গে গড়ে তুলেন ৯২ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য সেখানেই থেমে থাকেন নি। মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ২৩, তাইজুলের সঙ্গে ৫৬ আর নাঈম ইসলামের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ৫০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দেন রিয়াদ। সেই সঙ্গে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।
চলতি টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবেন সাকিবরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এমএইচএম