যা ছাপিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার দর্শকের উল্লাসকেও। আজ তারা একাই যেন একশো।
উপলক্ষ্যটিও তো কম বর্ণিল নয়। ক্রিকেটর সবচাইতে বড় ক্যানভাসে যে অনিন্দ্য সুন্দর ছবি টাইগাররা ইতোমধ্যেই এঁকেছেন এবং আঁকতে যাচ্ছেন তাতে ম্লান হতে চলেছে বিগত ১৮ বছরের সব ছবিই। প্রায় দেড় যুগের সুদীর্ঘকালের পথচলায় এই প্রথম কোনো দলকে ফলোঅন করালো লাল-সবুজের দল। সামনে এখন ইনিংস জয়ের হাতছানি। আর মাত্র ৬টি উইকেট হলেই তো সবশেষ। বেদনার নীল রঙে ছেয়ে যাবে গোটা ক্যারিবীয় শিবিরি।
আর স্বাগতিক শিবির হেসে উঠবে যন্ত্রণা ফিরিয়ে দেয়ার হর্ষে। ঠিক ৬ মাস আগে নিজেদের পেস বান্ধব উইকেটে সাকিবদের ৪৩ অলআউট করে এবং ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে যে হর্ষে হেসেছিলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের মারমার কাটকাট ৫০৮ রানের জবাব দিতে নামা উইন্ডিজকে স্পিন ঘূর্ণি নাকাল করে ১১১ রানে থামিয়ে দিয়েছেন সাকিব, মিরাজ। তাতে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯ রান তুলতেই নেই ব্র্যাথওয়েটদের ৪ উইকেট। যেখানে দুটি নিয়েছেন প্রথম ইনিংসে অবহেলিত তাইজুল। আর বাকি দুটি সাকিব ও মিরাজ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।
সন্দেহ নেই তাতে রাজ্যের নিস্তব্ধতা নেমেছে সফরকারী শিবিরে। বেজে উঠেছে ধ্বংসবাঁশির সুরও। ক্রিকেটের সঙ্গে জীবনের কী অদ্ভুত এক মিল! কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন প্রাণ যায় যায় অবস্থায় গ্যালারিতে বসে টিপ্পনি কাটছেন স্বাগতিক দর্শকরা।
‘যে বোলিং করতাসে, ওগো আরেকবার নামাইলেও পারতো না। কী খেলে একটা চাইর ও মারতে পারে না!’-বলছিলেন এক দর্শক।
মাঠের মহারণে এটাই বোধ হয় নির্মম বাস্তবতা। কেউ হারের বেদনায় নীল হয়। আর কেউ সেই রঙ দেখে বিজোয়োল্লাস করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস