শুরুতেই নিজের অসচেতনতায় রানআউট হয়ে ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ৬ বলে ৮ রান করা তামিমকে সাই হোপের পাঠানো বলে রভমন পাওয়েল আউট করে ফেরান।
তামিম ফেরার পর পরই সৌম্য সরকার ১০ বলে ৯ রান করে ও রানের খাতা খোলার আগেই অ্যালেনের বলে ফেরেন সাকিব। দুজনই একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
লিটন দাসের আউট হওয়া না হওয়া নিয়ে বেশ কিছুক্ষন খেলা বন্ধ থাকে। ক্যাচ হলেও আম্পায়ার নো বল ডাকেন, কিন্তু টেলিভিশন রিভিউতে বারবারই দেখানো হচ্ছিলো বল ঠিকই ছিল। এসব নিয়ে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা বেশ কিছুটা ক্ষেপেই যান। ঘটনা শেষে খেলা শুরু হয়েই পর পর দুই বলে ফেরেন সৌম্য ও সাকিব।
এই আসা যাওয়ার মিছিলে সামিল হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৯ বলে ১১ রান করে পলের বলে ব্রাথ ওয়েটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তিনি ফেরার এক ওভার পর ফেরেন লিটন। অবশ্য এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান।
পরের বলেই ফেরেন আরিফুল হক। করতে পারেননি একটি রানও। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ফেরেন ৭ বলে ৫ রান করে। মেহেদি হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি কিছুটা চেষ্টা করলেও দলকে নিয়ে যেতে পারেননি জয়ের বন্দরে।
১৯ বলে ১৯ রান করেন অলরাউন্ডার মিরাজ। আর পেসার রনির ব্যাট থেকে আসে দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান। যা খেলতে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন ১৭টি বলের।
উইন্ডিজের হয়ে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন কেমো পল। দুটি উইকেট নেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। আর একটি করে উইকেট নেন কার্লোস ব্রাথওয়েট ও শেলডন কটরেল।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয় ঝড়ের পর আস্তে আস্তে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। এতে ভূমিকা রাখেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব ও মোস্তাফিজ। তবে এভিন লুইসের প্রথমদিকের টর্নেডোতে ১৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহই পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশকে দেওয়া হয় ১৯১ রানের লক্ষ্য।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষটিতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
১৯ বলে দলীয় ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও শাই হোপ। মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান লুইস। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই হোপের উইকেট তুলে নিয়ে ঝড়ের বেগ কিছুটা কমিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ২৩ করা হোপকে বোল্ড করেন সাকিব।
কেমো পল এসে মোস্তাফিজের বল তুলে মারতে গেলে ব্যক্তিগত ২ রানে আরিফুল ইসলামের ক্যাচে মাঠ ছাড়েন। তবে দশম ওভারে দুর্দান্ত বল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পর পর দুই বলে আউট করেন এভিন লুইস ও শিমরন হেটমায়ারকে। ৩৬ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৮৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলা লুইসকে বোল্ড করেন রিয়াদ। পরের বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন হেটমায়ার।
নিজের তৃতীয় ওভারে ফের উইকেট তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। এবার রোভম্যান পাওয়েলকে ১৯ রানে লিটন দাশের ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান এই অলরাউন্ডার।
১৭তম ওভার ও নিজের চতুর্থ ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। নিকোলাস পুরানকে ফেরান মোস্তাফিজ। ২৪ বলে ২৯ রান করা পুরানকে দুর্দান্ত ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান। আর পঞ্চম বলে মেহেদির ক্যাচে ৮ রান করে ফেরেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।
নিজের চতুর্থ ওভারে এসে আরও দুটি উইকেট লাভ করেন সাকিব। মুশফিকের ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিংয়ে মাঠ ছাড়েন রাদারফোর্ড ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন।
এর আগে সিলেটে প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রানের দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতা পেয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এমকেএম