চলতি বিপিএলে টানা চার ম্যাচ হার। তবে শনিবার (১২ জানুয়ারি) চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচটি অনেকটাই ঝুকে ছিল খুলনার দিকেই।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ক্লান্ত-শ্রান্ত হলেও উত্তর দিতে হয় সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের। এক পর্যায়ে প্রশ্ন ওঠে সুপার ওভারে ব্র্যাথওয়েট স্ট্রাইক না পাওয়া হারের কারণ কিনা?
উত্তরে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘না আমি এরকম মনে করি না। আমাদের এখানে যে তিনজন ব্যাটসম্যান ছিল সবাই সামর্থ্যবান ছিল। অবশ্যই কালোর্সের কথা বললে বিশ্বকাপে ১ ওভারে ২৪ রান এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল। এই কারণে আমরা ওকে উপরে পাঠিয়ে , স্টার্লিংকে পরে পাঠিয়েছি। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। হয়নি বলে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে দোষারোপ করা ঠিক না এবং সেটা আমি পছন্দ করি না। '
'এখন এমন একটা সময় আমাদের দলে, এই জিনিসগুলো করলে আমাদের ড্রেসিংরুমে প্রভাব পড়বে। অধিনায়ক হিসেব আমি এই জিনিসগুলো পছন্দ করি না। নিজেও করি না, করতেও পছন্দ করি না। দল হিসেবে আমরা ম্যাচ খেলেছি, হারলেও দল হিসেবে হেরেছি। জিতলেও দল হিসেবেই জিততাম। এটাই গুরুত্বপূর্ণ খারাপ সময়টাতে আমরা একজন আরেকজনের দোষ যেনো না খুঁজি। বরং নিজের নিজের ত্রুটি গুলো খুজে বের করে কিভাবে তা সমাধান করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। '
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে হঠাৎই আরিফুলের উপর ক্ষেপে যান শান্ত স্বভাবের মাহমুদউল্লাহ। এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘গত ১১-১২ বছর ধরে অনেক চাপ নিয়েছি। হয়তোবা আজকে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কাজটা উচিত হয়নি। এটা হয়তো খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব ফেলে। চেষ্টা করব পরবর্তী সময়ে শান্ত থাকার। ’
চেষ্টা করেও নিজের হতাশা ঢাকতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক। বলেন, ‘এখন টুর্নামেন্টটি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। ৮টা ম্যাচের মধ্যে আমাদের ৫ থেকে ৬টা ম্যাচ জিততেই হবে। এটা অনেক কঠিন। তারপরও এটা ক্রিকেট খেলা। '
'দলের প্রতি আমার মেসেজ থাকবে টুর্নামেন্টে বাকি ৮টা ম্যাচের কথা চিন্তা করে খেলে লাভ নেই। আমাদের একটা একটা করে ম্যাচের কথা চিন্তা করে খেলতে হবে। আমি আজকের ম্যাচেই বলছিলাম, একটা জয় আমাদের দলকে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা যেভাবে খেলছি, তার চেয়ে আরও অনেক ভালো দল আমরা। কিন্তু আমরা তেমন আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছি না, ব্যাটিং-বোলিং, ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই না। হতাশাজনক…হতাশাজনক..। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এমকেএম/এমএইচএম