রান-আউটের ওই ধরনকে বলা হয় ‘মানকড় আউট’। মূলত সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ভিনু মানকড়ের নাম অনুসারে এই আউটের নামকরণ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় বিতর্ক থামাতে আইনি ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির এমসিসি। কিন্তু ৪১.১৬ ধারা অনুযায়ী যে ব্যাখ্যা তারা দাঁড় করিয়েছে তাতে বিতর্ক কমা তো দূরে থাকুক, উল্টো আরও বেড়েছে। এমসিসি’র বক্তব্য হচ্ছে-
‘আইনটি জরুরী। এটা ছাড়া নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যান বাড়তি সুবিধা নিতে পারে। পিচে অনেকটা দূরে এগিয়ে থাকতে পারবে। বিষয়টা হলো, নন-স্ট্রাইকার কখন নিশ্চিন্তে ক্রিজ ছাড়তে পারবে এবং বোলার কীভাবে বিতর্ক ছড়ানো ছাড়াই তাকে আউট করতে পারবে। '
‘পরিস্কার করে বলতে গেলে, নন-স্ট্রাইকারকে কোনো সতর্কতা জানানোর আইন নেই এবং নন-স্ট্রাইকার যদি আগেভাগে ক্রিজ ছেড়ে বাড়তি সুবিধা নিতে চায় তাহলে তাকে আউট করা ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী নয়। '
'অনেকেই মনে করছে বাটলারকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতেই বল ছুড়তে দেরি করেছেন অশ্বিন আর বাটলার ক্রিজে ছিলেন যখন তিনি ভেবেছিলেন বল ছোড়া হয়ে গেছে। যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি হয়, তাহলে এটা ঠিক হয়নি এবং এটা ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী। অশ্বিন কিন্তু উল্টোটাই দাবি করেছে। '
'টেলিভিশন আম্পায়ারকে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হতো এবং তিনি সেটাই করেছেন। তবে দুই দলকেই এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন আইন ও চেতনা দুইয়েরই সম্মেলন ঘটানো হয়। নন-স্ট্রাইকারকেও এক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে যেন আগেই ক্রিজ ছেড়ে সে বাড়তি সুবিধা না নেয় এবং বোলারকে ৪১.১৬ ধারা অনুযায়ী রান আউট করতে হবে। '
ক্রিকেটীয় আইন অনুযায়ী জস বাটলার যে ‘আউট’ এটা নিয়ে সন্দেহ খুব কমই আছে। কিন্তু বিতর্ক হচ্ছে ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে। বিশেষ করে অশ্বিন তার স্বাভাবিক অ্যাকশনে বল না করায় প্রশ্ন উঠছে। অশ্বিন বল ছোড়ার ভঙ্গি করলেও অপেক্ষায় ছিলেন কখন বাটলার ক্রিজ পার করবেন। এরপর স্ট্যাম্প ভেঙেছেন। এটা ক্রিকেটীয় দিক থেকে দেখলে একেবারেই চেতনার পরিপন্থী। ক্রিকেটের মতো ভদ্রলোকের খেলার সঙ্গে এটা ঠিক যায় কি না এটাই সন্দেহ অনেকের।
এমসিসি একটা আইনি ব্যাখ্যা দিলেও এ নিয়ে বিতর্কের শেষ কী হলো?
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘন্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এমএইচএম